তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়-এর গুচ্ছ কবিতা
(১)
বোতল
তোমার সাথে এ সম্পর্ক এখন
প্লাস্টিকের বোতলের মতো।
দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে!
ফেলে দেবো কিনা ভাবতে ভাবতে দেখি-
আমিই হয়ে গেছি সেই কিশোর,
বোতল কুড়িয়ে যার দিন গুজরান হয়।
(২)
একটামাত্র দান
আঁক কাটো!
শূন্য বসাও!
হাততালি দাও!
মিলে গেলে পুরো ছকটাই তোমার…
না মিললে
যুবতী স্বপ্নেরা অভিমানে জড়িয়ে যাবে কাটাকুটি খেলায়।
(৩)
অবেলা
গ্রীষ্মকালের দুপুরে শরীর জুড়ে আমগাছের ছায়া নামে!
সে ছায়া হাতড়ে খুঁজে পাই আমার রাধাবেলা।
দেখতে পাই,
অভিমানে আছড়ে ফেলছি মাটির কলসি!
কলসি ভাঙার শব্দে বিহ্বল হয়ে লিখতে বসছেন জয়দেব।
ভেসে যাচ্ছে সংসার…
(৪)
নেহাত
মায়ের আটপৌরে শাড়ির ভাঁজে আটকে গেছে চাঁদ।
বাবার সস্তার শার্ট, গেয়ে উঠছে গজল।
বোনের সাজের বাক্সে- ওমা! ঢুকে পড়েছে কত কত তারা।
একদিন ওরা সবাই টিপ হয়ে যাবে!
প্রশ্ন করবে –
‘সেই মেয়েটি কই?’
আর তারপরই,
ঠাকুমার প্রিয় আলমারির তাকে আবিষ্কার হবে
একটা ছিঁড়ে যাওয়া ডায়রি।
3 Comments
সঞ্জয় নাথ · জুলাই 19, 2020 at 3:55 পূর্বাহ্ন
আপনার কবিতার গুন মূগ্ধ পাঠক আমি , অনেক অনেক বার করে পড়ি , ঘোর লাগে , কথা গুলির মধ্যে চলতে থাকে নিজের মধ্যে বাজতে থাকা প্রশ্ন , তার উত্তর পেতে গিয়ে অনেক সিঁড়ি আরো নামতে হবে বুঝতে পারি, তারপর বোঝার চেষ্টা করি কোন ধরণের অনুভূতির খোপ বাক্সে কোন লাইনটিকে রেখে মেলাবো স্বপ্ন ক্যানভাস , দেখা যায় ভোর হয়ে গেছে,বোতল ও দারুন, দান টাও সংসারী,অবেলা টাও হিসেবি ভীষণ,নেহাত টা পুরুষ জন্মে বুঝব কি?
তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায় · জুলাই 19, 2020 at 1:00 অপরাহ্ন
আপনার মতামত ও ভাললাগা আমার প্রাপ্তি। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। আপনার যেভাবে ভাবতে ভাল লাগবে সেভাবেই ভাববেন। এখানেই আমার সামান্য লেখা সার্থকতা পাবে। 🙂
ব্রতী মুখোপাধ্যায় · ডিসেম্বর 23, 2020 at 9:35 পূর্বাহ্ন
ভাল লাগল।