রতনকে খুব মনে পড়িল
শ্রী চরনেষু রবীন্দ্রনাথ,
(আপনার রতনকে খুব মনে পড়িল)
আজ অনেক বছর পরে রতনকে ভীষণ মনে পড়ছে, কেমন আছে রতন এখনো কি সে প্রিয় জনের কন্ঠস্বর শুনতে পায়। মহাশয় ,মেয়েটিকে সম্পূর্ণ একলা করে দিলেন আপনি। শুধু সমাজের ভয়ে সম্পর্কের ওই রকম নাড়ীর টান ছিন্ন হয়ে যায় বলুন না মহাশয়? রতন তো তেমন বিশেষ কিছু চায় নি কেবল সম্পর্কের একটা অংশ হতে চেয়েছিল, কেন বঞ্চিত করলেন? একদিন তো সমাজের যুক্তি ,তর্ক ,শাস্ত্রের বাইরে গিয়ে কিছু মানুষ সতীর গনগনে চিতায় নবজন্ম দিয়েছিল। তবে কেন পোস্ট মাস্টার পারলেন না ওই একরত্তি মেয়েটার আশ্রয় হতে। উনি তো শহুরে ছিলেন , শিক্ষা দীক্ষায় সম্পূর্ণ ছিলেন তবে কিসের তাগিদে তিনি নিষ্ঠুর হয়ে গেলেন মহাশয় বড়ো জানতে ইচ্ছে করে। আসলে সম্পর্ক প্রয়োজন বোঝে, সুযোগ চায় । যে মেয়েটি কঠিন পরিস্থিতির ভেতর তাঁর আশ্রয় হয়ে উঠলো, যে সত্যি সত্যি অসহায় তার ওই মুখের অব্যক্ত শব্দ যন্ত্রনার এতটুকু আঁচ বুঝতে পারলো না পোস্ট মাস্টার । অথচ এই নিরক্ষীয় সময়ে দাঁড়িয়ে রোজই দেখে যেতে হচ্ছে ,রতনের বয়সি কেউ না কেউ ,নির্মম অন্ধকারে পৈশাচিক শিকারির তীক্ষ্ণ থাবায় চিৎকার করছে যদি শেষ বারের মতন রতন তার পোস্ট মাস্টার কে খুঁজে পায় ,যদি তার পরিবারের সামান্য অংশ হতে পারে। মহাশয়, আপনি যথার্থই বলেছেন, “এ জীবনে এমন অনেক মৃত্যু আছে, বিচ্ছেদ আছে ফিরাইয়া ফল কী এ পৃথিবীতে কে কাহার” । কিন্তু রক্ত মাংশের নিষ্পাপ অসহায় যে রতন গুলো হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে, পোস্ট মাস্টার কি কখনই এতটুকুও মানবিক হবেন না? সময়ের ঔরষে রতন আলো দেখতে চাইছে মহাশয়! আমি কখনই আমার অংশ হতে দেবো না।
ইতি
আপনার ক্ষুদ্রতম পাঠক
4 Comments
Bappa Kundu · মে 9, 2019 at 6:38 অপরাহ্ন
আমার প্রিয় প্রবীরদা। তোমার লেখা আমার খুবই ভালো লাগে
Sanjoy Moulik · মে 10, 2019 at 12:05 পূর্বাহ্ন
ভালো লাগলো ।
শালুক ফুল · মে 12, 2019 at 2:34 অপরাহ্ন
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
আশায় থাকলাম দক্ষিণের জানালার দিকে।
শালুক ফুল · মে 12, 2019 at 2:38 অপরাহ্ন
প্রবীরবাবু আপনার লেখা পড়ে ছিল, ভালো লাগলো বেশ।