মুহূর্তকথা
১.
একটি যৌনতাবাহী জাহাজ
লাশ নিয়ে চলে যাচ্ছে
একা একা
দূরে, অনেকদূরে শোনা যায় ডোমেদের মুহুর্মুহু কান্না
২.
বাতাসের পেট চিরে ঢুকে পড়ছে আকাশ
আকাশে কার নাভির গন্ধ?
কিছুটা আঁশটে, কিছুটা কষাটে!
৩.
বিষণ্ণ দেওয়াল কথা রাখছে না
তার অভিমান বাড়ির সঙ্গে
বাড়ি, বাড়িতে নেই
ঘরের ভিতর পর, ভাঙা গানের সুর তুলছে
৪.
মৃতদেহ সাজিয়ে রেখেছি জিভের কাছে
জিভে ঘা
কথা কম আসে; দাঁত বেরোয়… জিভ গন্ধ নেয়
নাক শরীর চাটে!
৫.
কণ্ঠে চিল বসে
ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে কথা
আমাদের সময় ফুরিয়ে যায়
সময়ের হালখাতায় আজও নিমন্ত্রণ আসে না
৬.
ক্ষ্যাপা নাই
পাখিরা ওয়াক্ত ভেঙে ফিরে গেছে দেশে
শান্ত নদী— হাওয়ার বুদবুদে কার, কী কথা শোনে?
শূন্য দরগার বুকে জলেরও বুঝি বিছানা পাতা আছে?
৭.
মানত নিয়ে আসেনি কেউ
জিজ্ঞাসু চোখে কালি, ভস্ম, কাল
ধুলোর দেহ আর পাতার অস্থি কেউ ছুঁড়ে দেবে?
এই মহাকাল— কিছু কি বোঝে নাকি কেবলই সূর্যাস্তের লাল?
৮.
লাল রঙের বইয়ের জামা গায়ে পরে
যে লোকটি চলে যাচ্ছে
বন্ধ ছাপাখানার দিকে
তার সঙ্গে আবার দেখে হতে পারে…
৯.
যা লিখি কেটে দিই
দু-এক ফোঁটা রক্ত পড়ে—
যতদিন যায় আরও ঝলমল করে!
১০.
এই সব মুহূর্তকথা ঘাস দিয়ে ঢাকা
ছোটো ছোটো, সবুজ
জল পড়ে, আলো পড়ে—
ভেসে আসে সাজানো কনের বিষণ্ণ মুখ
1 Comment
শীর্ষা · আগস্ট 30, 2020 at 6:38 অপরাহ্ন
বেশ ভালো লেগেছে আমার