কবিতা
প্রজন্মের জন্য
কবে থেকে বেঁচে আছো – হিসেব রেখেছ। হিসেব রাখোনি আর কোনও খানে যেখানেই গেছ, ফিরে এসেছ। এলে যেতে হয়, তুমিই শেখালে তাহলে গঙ্গাজল অপরাধী কেন! ছেড়ে দাও স্থান – তাকেও শেখাও নতজানু হতে সত্যির কাছে।
কবে থেকে বেঁচে আছো – হিসেব রেখেছ। হিসেব রাখোনি আর কোনও খানে যেখানেই গেছ, ফিরে এসেছ। এলে যেতে হয়, তুমিই শেখালে তাহলে গঙ্গাজল অপরাধী কেন! ছেড়ে দাও স্থান – তাকেও শেখাও নতজানু হতে সত্যির কাছে।
(১) অতুলের বস্তির লোক অতুলকে ‘ওতুল’ বলেই ডাকে । আপত্তির যথেষ্ট কারণ থাকলেও অতুলের কুড়ি ইঞ্চির শুকনো বুকে এতো বাতাস আঁটে না, যাতে প্রতিবাদ করা যায় । তার ওপর ঈশ্বরের দেওয়া মুফতের জল-হাওয়া-টুকুও তাকে গত পাঁচবছর ধরে ভাগ করে নিতে হচ্ছে আরেকজনের সাথে। হ্যাঁ অতুল বিয়ে করেছিল, কিন্তু তার বউ আরও পড়ুন…
ভবিষ্যত দ্রষ্টা কবিরা জানতেন ভারতীয় উপমহাদেশ কোন বারুদের স্তুপের উপরে অবস্থান করছে, তাই তাঁদের লেখায় সবসময় সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। হিন্দু – মুসলমান দুই মুখ্য ধর্ম এই উপমহাদেশের কাজেই এই অঞ্চলের শান্তি নির্ভর করবে তুই কমিউনিটির সম্প্রীতির উপরেই। তাই নজরুল লিখেছিলেন — ”মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান ”। রবীন্দ্রনাথ আরও পড়ুন…
(পর্ব ১) দেশটায় রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে বারবার। আর সেই পালাবদলের সাথে সাথে বারবার নানাভাবে চাগিয়ে ওঠে সহায়সম্বলহীন ছিন্নমূল উদ্বাস্তু পরিবারগুলির উদ্বেগ আর অসহায়তার দিনলিপি। একটি সিলমোহর চাই, সরকারি সিলমোহর। নয়তো আবার অনিশ্চিত অনির্দিষ্ট হয়ে যেতে পারে দু’মুঠো খুদকুঁড়োর সংস্থান। রাজনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রুতিতে, দুর্বিষহ উদ্বেগ নিয়ে আর মনের ভেতরকার ঝড় সামলে, আরও পড়ুন…
উলঙ্গ সিংহের ঝুড়ি নেমে আসছে লক্ষ মানুষের চিৎকারে, উল্লাসে গর্জন কীভাবে করতে হয় ভুলে গিয়ে দাঁতাল হাতি আত্মহত্যার ঢঙ্ সেজে বসেছে কপালে। আমাকে মর্জির থেকে ছিনিয়ে নিলো একটা কসরত, একটা উল্লম্ফন আমাকে সোজা গিঁথে দিলো নায়কসভার আসনে। দিনভর কলোজিয়ামের এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি, আমার ভেকস্তূতি ছাপিয়ে যায় আরও পড়ুন…
বাঙালি জাতির কাছে ১৯৭১ সালটা ছিল একটি পালাবদলের কাল। এসময় পশ্চিম পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্থানে বাঙালি নিধনের কাজ শুরু করেছিল। বাঙালিরাও ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন মরণ লড়াই করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল – যা বিশ্ববাসীর কাছে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ নামে পরিচিত। একসময় বাঙালি যোদ্ধাদের ধরতে না পেরে খান সেনারা গ্রামের পর গ্রাম আরও পড়ুন…
(১) “শো যা রাজদুলারি … শো যা… শো যা…” নোংরা তেলচিটে কাপড়ের পুতুলটাকে বুকের কাছে নিয়ে আলতো হাতে চাপড় দিতে দিতে ঘুম পাড়াচ্ছে মতি। বাচ্চাটা রাতভর কেঁদে কেঁদে পরেশান হয়ে গেল।এই ভোরের দিকে এসে আঁখ বনধ হয়ে আসছে দুজনেরই। এমনিতেই এত্ত খাঁশি হয়েছে কী …সরবতিয়া থাকলে লসুন আর সর্শো কা আরও পড়ুন…
একটা মুখোশ সাত সকাল বেলা বেরিয়ে পড়েছে ফুটপাত ঘেঁষে একজন পন্ডিত এর সাথে দেখা হলে গুটিয়ে নেয় সরু লেজ কথার ভাজে ভাজে উচ্চারিত হয় আগামীর প্রতিধ্বনি মঞ্চ সাজিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যে যুবক তার হাতে উঠে আসছে শাসনভার দুচোখ স্বপ্ন ভরে সে এখন বদলাতে চাইছে দেশ সমাজ সংস্কৃতি একটা মুখোশ সকালবেলা আরও পড়ুন…
১. সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। যারা ঘুমের মধ্যে মরাল এথিক্স মাটির নীচে পুঁতে দিয়েছিলাম, সেই আমাদের ঘুম ভাঙলো অনেক দূরে। তখন প্রায় সকলের কপালেই ফাটল দেখা যাচ্ছে, মুখে সরলতা নেই, আর কাঁধের ওপর কালো আকাশ নিয়ে আমরা উঠে বসলাম। এরপর থেকে আমাদের অযৌন জীবন কাটাতে হবে। সব দরজাগুলো খুলে গেছে আরও পড়ুন…