shitolokkha

শীতলক্ষ্যা

পামেলাকে স্নান করতে দেখেছি বহুবার। পামেলার স্তনের বোঁটার রঙ ছিলো হালকা গোলাপি।একবার,দুবার…তিনবারের মাথায় সমস্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেলে,নিজের হাতেই ভেঙে দিয়েছিলাম বাতিঘরের সমস্ত কাচ। মনে হয়েছিল,এই সামান্য পথের জন্য এতদূর ছুটে এলাম! এরপর ভালো লাগতো না কাউকেই। এমনকি সেই বৈষ্ণবীকেও নয়। পামেলার মতো ফরসা না হলেও বৈষ্ণবীর গায়ের রঙ অনেকটা কাঁচা আরও পড়ুন…

abir makha kodom gach

আবির মাখা কদমগাছ

দূরপাল্লার ট্রেন যেখানে থামতে চায় না, আর যারা থামে তারাও নিতান্তই পরিস্থিতির কারণে… এমন এক ছোট স্টেশন। তার সীমিত দৈর্ঘ্যের প্ল্যাটফর্ম। আর সেই সীমিত অঞ্চলের নিরহঙ্কার অস্তিত্ব। হলুদ রং করা জাফরি দেওয়া পাঁচিল। পাঁচিলের ওপারে লালমাটির রাস্তা, যা ট্রেনের জানলা দিয়ে যাত্রীরাও দেখতে পায়। সেই পাঁচিলের ওপারে আর এপারে কাছাকাছি আরও পড়ুন…

bishad brikkho

বিষাদবৃক্ষ

রাত প্রায় তিনটে। মৃন্ময় ঘোষালের চোখে ঘুম নেই। পাশে শুয়ে স্ত্রী সুপ্রভা একটানা ঘং ঘং করে কেশে চলেছেন। কয়েকদিন যাবৎ বুকে সর্দি বসেছে সুপ্রভার। কথা বলতে গেলে হাঁফিয়ে যাচ্ছেন। সবই লক্ষ্য করছেন মৃন্ময়, শুধু পয়সার অভাবে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। মৃন্ময় জানেন সুপ্রভাও  ব্যাপারটা বুঝেছেন, তাই স্বামীর সামনে যতটা সম্ভব আরও পড়ুন…

hay bosonto

হায় বসন্ত !

সুগত,      আশা করি ভালো আছো। অবাক হচ্ছো ? ভাবছ এতদিন পরে হঠাৎ কি মনে করে তোমায় চিঠি লিখছি ? আচ্ছা আমি কি তোমার মনের কোন এক কোনে কোথাও কি নেই ? অবশ্য না থাকারই কথা। সুগত সত্যি কথা বলতে আমি নিজেও কিন্তু জানিনা কেন আজ আমি এত অস্থির, কেন আরও পড়ুন…

bosonto prem

বসন্ত_প্রেম

আরে বাবা ভূত পেত্নীর একটু ভালোবাসাবাসি করার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। একটু নিরালা একটু আড়াল নেই। শুধু বসন্তকাল জুড়ে হরিনাম সংকীর্তনের পালা। আর এই বসন্ত কালেই তো একটু পেত্নীর মাথায় সোহাগের হাত দিয়ে উকুন বাছতে ইচ্ছে হয়। তারও জো নেই। মানুষগুলোর হরিভক্তি যেন উছলে উঠেছে। তিরানব্বই বছরের ভূত বিশেষজ্ঞ জিতেন দাদু এই আরও পড়ুন…

prak

প্রাক

তারপর পুরো গল্পটা জুড়ে ঘুমে চোখ বুজে আসা ঘাসেদের দপ করে জেগে ওঠা এক গন্ধ মরে যাওয়া আরেক গল্পের ভিতর-গল্প হয়ে ঢুলতে থাকল।   — গাছ   — মাটি   — মানুষ লাগে । মানুষ লাগে।   — মানুষ মানুষ লাগে।   — লাগে।   — মাটি   — বাল। আরও পড়ুন…

choitali band

চৈতালি ব্যান্ড পার্টি

আবু ঠেকে বসে পা দোলাচ্ছে অনেকক্ষণ । কেউ তখনও এসে উঠতে পারেনি । ঠেক বলতে একটা টেলিফোনের তারজালি ঘেরা বাক্স । বাক্সের সামনে যে বাড়তি ছ’ইঞ্চি শান বাঁধানো জায়গাটি রয়েছে তাতে তিনজন সাকুল্যে বসতে পারে । পাঁচজন একসাথে এসে গেলে দু’জনকে অলটার করে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে হয় । একেবারে মোড়ের আরও পড়ুন…

koto rongo dekhi duniyay

কত রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়!

“হোলি মানেই সেইসময় আমাদের মত ছেলেদের জন্য একএকটা নতুন নতুন আবিষ্কারের দিন। সেটা প্রাপ্ত বয়স্কদের মাথায় আসবে না এবং খুদেরা ভাবতেও পারেনা……” বলে শুরু করলেন হারান কাকা। বাড়ির হলে একটা বড় চেয়ারে বসে বলতে শুরু করতেন। সামনে আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু – সবাই সমবয়সী। কাকা গল্প বলছে এবং এই আরও পড়ুন…

pustok alochona

দেবাশিষ মহন্ত-এর কাব্যগ্রন্থ “আলো নিভে গেলে”

ঘড়ির কাঁটা আলো আর আঁধারের তারতম্য বুঝিয়ে দেয়। গাণিতিক ভাবে যার আনুপাতিক হার ১২:১২। বারো ঘন্টা আলো জ্বালানোর পরে কিভাবে যেনো প্রকৃতি সুইচ অফ করে ফেলে। সেই সুইচকে পাগলের মতো খুঁজে বেড়িয়েছেন কবি। মানুষ একগাদা ছায়া নিয়ে বেঁচে থাকে। যে ছায়ার গভীর সুরঙ্গে পথ চলতে গেলেই হঠাৎ দেখা হয়ে যায় সুখ-শান্তি, আরও পড়ুন…