aji e bosonte

আজি এ বসন্তে

শীতকাল অনেক আগেই চলে গেছে । তাই শরীরে ব্যাঙের রক্ত নিয়ে শীতঘুম দেয়ার দিনও অতিক্রান্ত । এখন সুপর্নারা আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের জন্য সেজে উঠছে । ” ফুলে ফুলে , ঢলে ঢলে ” পড়ছে রঙ বেরঙের প্রজাপতির দল । মসৃন বাকল থেকে পিছলে যাচ্ছে চাঁদের আলো । ” আজ দখিন দুয়ার আরও পড়ুন…

gucchokobita sohel

সোহেল ইসলাম-এর গুচ্ছ কবিতা

আবির মাখা কুঁড়ি যুদ্ধে বাহাদুরী ১. রঙ লাগল আঙুলে তার মুখর হাওয়া হাতের ছোঁয়া পেয়ে আবির তুমি আবার কেন ডাক পাঠালে বাউল গান গেয়ে ভালোই ছিল আবছা ছায়া মনখারাপে চিলেকোঠার সিঁড়ি জীবন বুঝি নকশা করা রঙ লাগান কাঁঠাল কাঠের পিঁড়ি সামান্য যা,ভাবব শুধু লিখব কেন ? দেয়াল লিখে লিখে কে আরও পড়ুন…

guchhokobita sagarsharma

সাগর শর্মা-র গুচ্ছ কবিতা

বসন্ত কোকিলের উড়াল থেকে খসে পড়ছে কূ জ ন পালকির ভেতর উন্মনা নতুন বউ। চার বেহারা ছুটছে মাঠের নির্লিপ্তিতায়— গমের ক্ষেত থেকে উঁকি মারছে কাকতাড়ুয়া পালকি ছুটছে— হন হন হন হন হন হন বন-বাদাড়ে ফেটে যাচ্ছে শিমুলের লাল। এইসব বিষাদ সমূহ . পাপিয়ার উড়ালের নিচে পড়ে আছে জেব্রা রঙের ছায়া— আরও পড়ুন…

bosonto o restora

বসন্ত ও রেস্তোরাঁ

অলৌকিক রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম আমরা স্বরবর্ণের মতন সন্ধে নামে আমাদের শহরে অসুখ ভুলে যাই ভালোবাসি পটেটো চিপস আর বসন্তকাল ডাইরিতে বৃষ্টি লিখছেন তুলারাশির জাতক

journey

জার্নি

দু’হাতে নিকট ঠেলে ছুটে যাচ্ছে ভাঙা রেলগাড়ি – ঝাপসা দিগন্তে নাচ সাঁওতাল মেয়েদের, মাথা জূড়ে দ্রিমদ্রিম মাতাল মাদল, চব্বিশের মেয়ে তখনি শুধোয় যদিঃ ভাল আছো? কী বলব তকে? শীতকাল। গাছে গাছে প্রকট কঙ্কাল, দূরে কথাও লুকানো এক বদমাশ কোকিলের শিস— কানে বাজে অবিকল সদাশিব অম্রপুরকরঃ বিকেলের ছাদ ঘিরে চোখজ্বলা সবুজ আরও পড়ুন…

jounota bisoyok

যৌনতা বিষয়ক

১. প্রিয় ফুলদানি হাত ফসকে ভেঙেছতীব্র বারণ সত্বেও, কেটেছে আঙুল পারভার্ট ছেলে বলে এই বকা খাওয়ার ভেতর এক তৃপ্তি আছে, আছে এক তীব্র বিস্ফোরণ তুমি কখনোই তা স্পর্শ করোনি ২. মানুষ আদতে যাযাবরবিস্তীর্ণ ভূগোল। বাধা নেইতবু যেন  কালোত্তীর্ণ সংগ্রামে নেমেছে অফুরান খিদে। জয়। এক অপূর্ব উল্লাসে সিনেমায় যেটুকু দেখায় তা প্রকৃত ন্যারেটিভ আরও পড়ুন…

daak

ডাক

কোথায় রাখব প্রেম? স্মৃতির বাগানে সব কোকিলেরা ডাকে বিগত উন্মুখ এসে অতীত জাগায় আলো-অন্ধকারে হাত কার হাত চায়? মৃদু কম্পন এসে এ নিরালা ভাঙে দৈবগানের দিন মরমিয়া খোঁজে সমস্ত বিষাদ ধুয়ে আবার দাঁড়াই আবার পালকগুলি উড়ানের নির্ভিক প্রত্যয় এ ভোর বসন্ত ভোর ডাক দিয়ে যায়

bosontobish o nokkhotrojol

বসন্তবিষ ও নক্ষত্রজল

স্বশব্দ নেমে যাই প্রবল। ইহজীবন সুখ আলো, তোমার ক্যারিশ্মা বলতে বলতে অপরূপ দুপুরে মণিবন্ধ চিৎ করে বসন্ত খুলি একটা একটা ঋতুলাল জমা হয়। সেবিকাগর্ভ সাজিয়ে রাখি তিলক তিলক হরিণ ছুটে যাই। ধারালো কেশর ঝামড়ে তোমার শলাকা তুলসীকাঠ হয়ে বেঁধে। রসকলি উপচে আসে মৌটুসিফুল। সূক্ষ্ম ঠোঁট চুষিয়ে নিই মধুমাস।