debasish_saha

দেবাশিস সাহা-এর তিনটি কবিতা

প্রত্যাখান অবহেলা পেরিয়ে পেরিয়েএসে পড়ি অভিমানের মাঠেএখানে কেঁদে বেড়ায় ঘোলাটে চাঁদ নতমুখ পালিয়ে পালিয়েকোথায় যাবে রুকবানুর প্রত্যাখানের আঘাতে আঘাতেগড়িয়ে আসি প্রকৃতির কোলেদুটো খুচরো পাখিগন্ধে গন্ধে স্নান করেআমার মন প্রকৃতি কখোনো ফেরায়নি আমাকেঅথচ ভালোবাসার নারীদড়াম দড়ামবন্ধ করেছে হৃদয়। অপেক্ষায় এবাদুল দাএখন কি তোমাকেআকাশের ঠিকানায় কবিতা পাঠাবো রক্তে লেখা অক্ষরমেঘে ভিজে গেলেকি আরও পড়ুন…

taimur_khan

তৈমুর খান-এর একগুচ্ছ কবিতা

মৎস্যগন্ধার দেশে আমার বিকেল নিয়ে চলে যাচ্ছে কারা ?ব্যস্ত শহরের এককোণে বসে আছিগ্রাম থেকে উড়ে আসা কাক —সঙ্গে সেই মফস্বলী হাওয়াখালিগায়ে রোদ মেখে নেওয়া এসব ভাবে না শহরলোহার মানুষ হাঁটে দ্রুতঅথবা প্লাস্টিকের রমণীসোনার বিস্কুট খায়পিতলের ছেলে মেয়ে জীবিকার ছিপ হাতে সারাদিন কাটেকংক্রিটের জলে বিকেল ডুবে যায়একটাও স্নেহের মাছ নেইমৎস্যগন্ধার দেশে আরও পড়ুন…

Tanmoy_bhattacharya

তন্ময় ভট্টাচার্য-এর একগুচ্ছ কবিতা

রাজনীতি রাস্তার আলো ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়লে, মনে হয়, গোয়েন্দাগিরি শুরু হল। কেন্দ্রের কোনো গোপন ফোল্ডারে জমা পড়বে রোজকার জীবন। জানলা বন্ধ করি। ঘুলঘুলিতে সিমেন্ট ঠেসে দিই। নিশ্ছিদ্র বেঁচে থাকতে থাকতে, ভীতু হয়ে উঠি আরও। রাষ্ট্র সেসব খবর রাখে না। তথ্যের ভগ্নাংশ নিয়ে সে আমায় উগ্রপন্থী ভাবে। ভাবে, এই বুঝি আরও পড়ুন…

Samidh_gangopadhyay

আবার গরম অসুখে

১. আলো নিভে যাচ্ছে আর আমারএকশোতম অপরাধ মেনে নিচ্ছ তুমিআমি কিন্তু থামছি নাতুমি থামতে দিচ্ছ নাতুমি থামতে বলছোআমি শুনতে পাচ্ছি নাআমি শুনতে পাচ্ছিতুমি থামতে বলছো না অথচ একশো এক একশো দুই তিন চার চারশো… রানওয়ে বানিয়ে বৃষ্টি উড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনায় বিকারগ্রস্ত লাইন আমার পছন্দের সইতাই তোমার গমগমে সম্মতির তোয়াক্কা না আরও পড়ুন…

Arpita_sarkar

অর্পিতা সরকার-এর একগুচ্ছ কবিতা

ঈপ্সা মাতামহী বালিকা আমিকে বলেছিলেন–ধাতুপাত্র আর মৃতপাত্র ছোঁয়াছুঁয়িতে রাইখো নাপোড়ামাটি হইতে রক্ত ঝরে, স্বপনকলা খান খান কান্দে, তারপর কত ভাঙচুর, জলখেলা…ধাতুলোভ বেড়ে যায় বড়। যতখানি প্রেম দিলে প্রাণেরমণেও বিরহের সুখ কেঁদে কেঁদে মরেছিঁটেফোঁটা মন্ত্রপুত বায়ুতোমার আমার মাঝে নবজাতকের মতো দেয়ালা সাজায় ধাতুলোভ বেড়ে যায় বড়। প্রিয়মুখ, মুক্তির পথে মাটির কলস আরও পড়ুন…

Madhumita_roy

মধুমিতা রায়-এর একগুচ্ছ কবিতা

কিছু রাগে কিছু তো সংকেত দিয়েছ বহুআগেগামছা নিংড়ানো জমানো অভ‍্যাসনামানো জলপথ ভাঙানো কিছু রাগে রাগের ধার দিতে সুযোগ কাজে লাগেগোধূলি রং মেখে বানানো কৃতদাসকিছু তো সংকেত দিয়েছ বহুআগে ফুলের ঝরা দেখে গন্ধ রাত জাগেঠাণ্ডা অনুভবে এবার মাঘমাসনামানো জলপথ ভাঙানো কিছু রাগে খাতায় লিখি ভুল জটিল গুণ-ভাগেসমাধা নেই বলে ফুটেছে সব আরও পড়ুন…

probuddha_ghosh

প্রবুদ্ধ ঘোষ-এর একগুচ্ছ কবিতা

যেভাবে ম্যাজিক হয় সেই অদ্ভুত জাদুকর আমাদের ডেকে নেয়।দর্শকাসন থেকে মঞ্চে উঠে এসেজগঝম্প, দুরন্ত মিউজিক, চোখধাঁধানো আলো-বোকা বনে যাই। মুঠোর ভেতর খরগোশ,বুকপকেটে ক্যাকটাস, মাথার খোপে পায়রা,আর কিচ্ছু নেইয়ের থেকে হঠাৎ গোলাপ।বোকা বনতেই বারবার, জাদুকর ডাকলেইমঞ্চে হাজির, হাসিমুখ, সুপ্ত ধর্মবোধ।জাদুদণ্ড নড়ে ওঠে, গিলিগিলি ফু-মানুষ উবে যায়। রুমাল নাড়লেই-ফৌজি কাঁটাতার মাথায় সেঁধোয়। আরও পড়ুন…

Arin_chakraborty

অরিন চক্রবর্তী-এর তিনটি কবিতা

ব্রহ্মনদী তারপর এক সময় সঙ্গম থেমে আসেবুক ভর্তি সিগারেটের ছাইতুমি খুঁটে নিচ্ছ সমস্ত সম্পর্কযা আঁশের মতো লেগে আছে আমার চামড়ায়… রক্তের ঢেউ নামে আমার মিনারেতুমি বসে থাকো স্থবির হয়েসাঁতরে পার হয়ে যাচ্ছিতোমার ব্রহ্মনদী… মাটি গতজন্মের ফসলের দাগ লেগে আছেআমাদের উঠোনে যে জমিতে একাত্তরের মাটিসেখানে প্রেরণাহীন আঁচড় কাটছি ভুলিয়ে দিচ্ছি ‘দ্যাশ’—বাবার আরও পড়ুন…

Sandipan_Dutta

নেভি কাট সংলাপ

১. সেই যে একটা গল্প ছিলফড়িং ও শিশুদের নিয়েশিশুরা কেমন ফড়িংকে কষ্ট দিয়ে সুখ পায় ইত্যাদি এই গল্পের ভেতরএকই সঙ্গে যন্ত্রণা ও সারল্য আছে যন্ত্রণা একটি সরল জিনিস তুমি কখন ফড়িং কখন শিশুসেটা বোঝাই জটিল কাজ ২. তোমায় দেখা যায় দূর থেকে সবটা সবুজ মনে হলেওক্রমশ তোমার কলারের ময়লার মতোতুমি আরও পড়ুন…