mondarmoni

মন্দারমনি

২৫ তারিখ। একটা ছোট্ট ট্যাক্সি গাড়িতে করে শুরু হল আমাদের যাত্রা। হাওড়া থেকে গাড়ি ধরে ছ-ঘন্টার মধ্যে মন্দারমণিতে এসে পৌঁছেছি। হোটেলের নাম ড্রিমল্যান্ড। সমুদ্রের গায়ের সাথে একেবারে লাগানো। সামনেই বাগান। চারপাশ সবুজ ঘাসে ঢাকা। চারদিক দিয়ে সারি সারি নারকেল গাছ। সুন্দর বাগানটাতে পাতা রয়েছে গুটিকতক চেয়ার আর কটা দোলনা। দোলনা আরও পড়ুন…

laal toilet

লাল টয়লেট

রাস্তাটা বেশ  কিছু সময় ধরে অবরুদ্ধ, বিশেষ করে স্কুলের বন্ধ গেটের সামনের রাস্তাটাতে একজনও জায়গা ছাড়ে নি।স্কুলের বেশ কিছু ছাত্রিও রাস্তায় বসে গেছে, কিছু সময় আগেই  প্রিন্সিপাল ম্যাডাম বলে গেছেন, ‘ আপনারা কেউ এমন করবেন না, অথারিটি হ্যাভ টু টেক স্টেপস।‘ কয়েকজন অভিভাবক জবাব দিতে গেলেও প্রবীর ও সুমনা দুজনাই আরও পড়ুন…

bondho ghorer rohosyo

বন্ধ ঘরের রহস্য

পিকলু চুপিচুপি এসে দরজায় দাঁড়িয়ে কান লাগিয়ে আড়ি পেতে শুনছে। ভেতর থেকে কেমন একটা কান্নার আওয়াজ আসছে না? একটু ধাক্কা লাগতেই দরজাটা খুলে যায়। আনেক দিনের দরজা তাও আবার বছরে এক দিনই খোলা হয় তাই বিশ্রি ভাবে ক্যাঁক করে শব্দ করে উঠলো। অমনি ঘরের ভেতরের মানুষ গুলো কেমন যেন চমকে আরও পড়ুন…

ek sondhya

এক সন্ধ্যায়

— বউ একটা চ্যাংড়া হামাঘরে পিচে পিচে আসোচে। — আসুক আসপা দাও। — অয় খালি মোক দেখোসে। — দেকপেই। তোমাক কি সাধে লোকে পাগলা মনোজ কয়ে ডাকে? — এখানে আমাক কেউ চেনে না। — না চিনুক। এইগরমেত কুত্থেকে অ্যাটা ধোকরা জামা আনিচে। টুটির বোতাম লাগাব কে কোসে তোমাক? — কেউ আরও পড়ুন…

guddi

গুড্ডি

চোখে পাখি গেঁথে থাকা একটা আলো হুড়মুড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ল্যাংড়াবাড়ির ঘাসগুলোতে । এসময় গাছের গায়ে লাঠা হয় খুব । সারি সারি লাল পিঁপড়া লাঠা পায়ে চলতে থাকে ঘাসের উপর। ঘাস চ্যাটচ্যাট হয়ে যায় । কেঁচো খেতে নামা পাখির ঠোঁট ঘাসে আটকে যায় কখনও । যুতসই মওকা বুঝে, উদবিড়াল পাখি মুখে আরও পড়ুন…

cycle

সাইকেল

সিনেমাহল থেকে কয়েক পা এগোলেই ডানদিকে তিনতলা বাড়িটা । তুমি তার সামনে দিয়ে দিনে দশবার যাও । খুব গরমে আর খুব শীতে এই সংখ্যাটা একটু কমে যায় । কিন্তু তবুও বাড়িটার সামনে দিয়ে যাবার সময় তোমাকে দেখে মনে হয় তুমি এই বাড়িটাকে দেখবার জন্যেই পৃথিবীতে এসেছ । অতি সাধারণ মানের আরও পড়ুন…

ayojon

আয়োজন

রূপসা ব্যারাকপুরের বাড়ির সামনে রিক্সা থেকে নামল তিনটের দিকে। দুপুর তখন আস্তে আস্তে বিকেলের গায়ে ঢলে পড়ছে। হালকা হাওয়া দিচ্ছে দক্ষিণ দিক থেকে। রূপসা বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়ালো কিছুক্ষণ, এই তো গেটের সামনে বকুল গাছটা আগের মতই ছায়া বিলোচ্ছে, তবে কুয়ো পাড় টায় মনে হলো শ্যাওলা জমেছে অনেকদিনের অব্যবহারে। সাত্যকি আরও পড়ুন…

lonon

লোনন

পাইলটরা ছাঁটাই হল সবার আগে। তারপরে মিসাইল লঞ্চাররা। হবেই বা না কেন? মিসাইল থেকে মেজার্স, বিমান থেকে বোমা, সবকিছুই সবচেয়ে আধুনিক। বাজেট কি? বিলিয়ন ট্রিলিয়নের বাজেট। তা মঁসিয়েরা টারগেটে হিট না করে স্রেফ সমুদ্রেই বোম ফেলছে?   এক্ষুনি সমস্ত খনিগুলো— তেলের খনি, কয়লার খনি, তামা লোহা সোনার খনি— কবজায় আনতে না পারলে চলবে আরও পড়ুন…

rong

রঙ

গন্তব্যে প্রায় পৌঁছে গেছি মনে হলেই আজকাল  একটা অবসাদ আসে। কিন্তু হিসেবমতো উল্টোটাই হওয়া উচিত। তবু আলোঝিরি পথের ভেজামাটি পেরিয়ে ঠিক যেখান থেকে চাপচাপ কুয়াশা শরীরকে আবছা করে তোলে সেখানেই প্রতিবার বড্ড ঘুমঘুম পায় যেন। দু’একটা গিরগিটি রং বদলে সবুজ থেকে ধূসর হয়ে যায় হঠাৎই। অরণ্যও বহুরূপী হয়।পাইন ফলবিছানো রাস্তায় আরও পড়ুন…