এখন ট্রেনে। সামনে এক হকার। অনেকটা রোবট আকারের। বিক্রি করছে মোবাইল। সুরেলা গলায় চেঁচাচ্ছে, – কথা বলুন, কথা বলুন, আপনার প্রিয় মানুষটার সঙ্গে। মোবাইল কানে দিলেই প্রেমিকা আপনার। এ মোবাইলই পৌঁছে দেবে সুমেরু বা কুমেরু। পাবেন রানি ভিক্টোরিয়া বা গান্ধীজীর ফেসবুক। আপনার সব আশা পূরণ করে দেবে এ মোবাইল। কয়েকশো আরও পড়ুন…
ঢুকতেই অমিত বলল, ‘ঋষি, তুই এত দেরী করে এলি, কতক্ষণ অপেক্ষা করা যায় বল! সবাই তোর কথা বলছে! ‘কোনো উত্তর করলাম না। কারো দিকে তাকালামও না। গেট খুলে ভেতরে ঢুকলাম। মুখোমুখি অমিতাভর সঙ্গে। অমিতাভর একপাশে সমর্পীতা অন্যপাশে সায়ন। সমর্পীতা উচ্চমাধ্যমিক সায়ন ক্লাশ নাইন। অমিতাভ নীলার হাজব্যান্ড। আমি কোনো দিকে আরও পড়ুন…
আস্থা ফার্নিশার্সে, সাতটায় দিন শুরু হয়। রোজ সকালে সুখেনের পিছনে লাগা, বিজনের পুরানো অভ্যাস। আবার দোকানের ডান কোণে, রাস্তার কলে দাঁড়িয়ে দাঁত মাজা, এটাও বিজনের অনেক দিনের অভ্যাস। আজও তার ব্যতিক্রম নেই। দূর থেকে তাকে আসতে না দেখার ভান করে, মুখ নীচু করে চুপচাপ লোহাতে যন্ত্র ঘষায় মন দিল সুখেন। কাছাকাছি এসে আরও পড়ুন…
যেদিন যেমন জোটে সেদিন তেমন রান্না হয়, এই আজ যেমন গরগরে করে মাগুর মাছের ঝোল রেঁধেছে টগর। ছেলেমেয়ে দুটো মাগুর মাছ খেতে বড় ভালোবাসে। না, ফ্যাকাসে রঙের থ্যাবড়া মাথাওয়ালা হাইবিড মাগুর নয়, জলের দেশের মেয়ে হয়ে টগর মাছ চিনবে না? ল্যাজা মুড়ো নিয়ে ছপিস বেরিয়েছে, নিজের পাতে মুড়ো আর ল্যাজা আরও পড়ুন…
প্রার্থনাসভা শেষ হলে স্টাফরুমে ঢুকে অবাক হয়ে যায় অমিত রায়। আশেপাশের বেশিরভাগ চেয়ার টেবিল ফাঁকা। কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে প্রভিশনাল রুটিং খাতা বের করে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। আজ জীববিদ্যা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা। এই স্কুল পরীক্ষার সেন্টার নয়। কিন্তু পাশের সেন্টারে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ইনভিজিলেশন ডিউটিতে যেতে হয়। আজ চারজন টিচিং আরও পড়ুন…
“আজ এই যে আমার রাজকীয় উত্থান ,তাতে তোমার অবদান কতটুকু বলতে পারো বাবা ? করতে তো ওই মুটে গিরি ! খুশি হব এভাবে হুট করে তুমি এ বাড়িতে না এলে। তোমার সম্মান রাখতে পারবো না তার চেয়ে বরং এ অভিজাত পাড়া,এই সুবিশাল অট্টালিকা মুখো হয়ো না। কি হলো দাঁড়িয়ে আছো আরও পড়ুন…
ঘন জঙ্গলের মাঝে ঝড়াম করে নেমে এলো একটা জানলা। একটা বক্স জানলা। তাতে একটা মেয়ে বসে। তার পা খারাপ। ঈশ্বর তার ঘর বানাবার সময় বলেছিল ,” তোমার কি করতে সবচেয়ে ভালো লাগে?” মেয়েটা বলেছিল, ” ঘুরতে ” । ঈশ্বর একটা বক্স জানলা বানিয়ে সেখানে তাকে বসিয়ে দেয়। বলে, ” তুমি আরও পড়ুন…
(১) ঘুম ভেঙে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল অয়ন। উফ্ফ কি যাতা স্বপ্নরে বাবা। ওর জীবনটা নাকি সুনীলের মতো হয়ে গেছে! সুনীলকে ঠিক পছন্দ নয় ওর। ওদের কলেজেই পড়ে, কিন্তু কোনো ক্লাস নেই ছেলেটার। কেমন সাদামাটা জামা কাপড় পড়ে, অ্যাবসোলিউটলী নো ড্রেসিং সেন্স! হাবভাব মোস্ট ইডিওটিক। টালীগঞ্জের দিকে বস্তিতে থাকে। নাপিতের ছেলে, আরও পড়ুন…
“সামনের একমাস গোটা বাড়ির সবাই রোজা থাকবে, কিন্তু দশ বছরের রুহানিকে রোজা রাখার পারমিশন দেওয়া হয়নি। আম্মি-আব্বা-দাদির কাছে সকাল থেকে কান্নাকাটি করেও কোনো উপায় হয়নি। সবাই বলেছে, রুহানি অনেক ছোটো, তাছাড়া না খেয়ে দেয়ে স্কুল – টিউশন এর জন্য তাকে ছাড়া যাবে না। একমাত্র ছুটির দিন সে চাইলে রোজা রাখতে আরও পড়ুন…