tinti_kobita_malabika_hajra

তিনটি কবিতা

বিজয়বার্তা ক্রিস্টালের টেবিলের উপর উড়ে এলো বালিহাঁসসমুদ্র জয়ের বার্তা বোধহয় এভাবেই আসে সবুজের আর্তনাদ ঘিরে আমরাওসমস্ত সরলরৈখিক গমন একত্রিত করিগড়ে তুলি বিশ্ববিদ্যালয় বিপন্ন মানুষের বিষণ্নতাজি ডি পি র সাথে বাড়ে কমে ,বিচারের মতো নিভৃত বিষয়জনসমক্ষে হয় শিকড়ের দিকে সংশয় , অথচডালপালা ছিঁড়ে অনাবিল ওড়েসমুদ্র আর হাঁসেদের বিজয়… যাত্রাপথে তোমাকে যত আরও পড়ুন…

monkharap

মনখারাপ

এইমাত্র উড়ে গেলো যে ইচ্ছেটুকুতার ডাকনাম মনখারাপচিবুকে’র ভাঁজে লুকিয়ে আছেজন্মান্তরে’র অভিমান করতলে এখনো লেগে আছে প্রেমবসন্ত-রঙ বিকেল এখন অন্তরীণে দিন ফুরিয়ে এলেচাঁদের বাড়ি’র ঠিকানা ফুটে ওঠে আকাশেবিষন্ন কোকিল শিস দিয়ে ওঠে বিরহে তখন ছেলেভুলোনো গল্প’রা সবরূপকথার ভারচুয়াল রাজ্যজুড়েহুটোপুটি করছে মেসেঞ্জারের বারান্দায় দুঃখু দুঃখু ইমোজি’তে ভরে আছে কি-বোর্ডযোগাযোগের ওপারে তুমি এপারে আরও পড়ুন…

ofuran_diner_jonyo

অফুরান দিনের জন্য

একটা অফুরান দিনের জন্য চাইরোদ ঝলমলে এক সুনীল আকাশযে আকাশে আলোর ঘনত্ব মাপতে মাপতেআমরা ম‍্যানুস্ক্রিপ্ট বানাবো নীল কুড়ানো জলেআর সেই জল থেকে উঠে আসা পরিদের ডানায়আমরাও সেঁধিয়ে যাবো ভূমিকায় ক্রমাগততারপর একটা বিশাল পরিভ্রমণযে ভ্রমণে বর্ণমালা জূড়ে থাকবে পরিবার পরিজনআর পারিপার্শ্বিক মানুষের ইদানীং গুলিয়ে ফেলাসমাজের দিনলিপি ও তার সুখ্খ‍্য সমীকরণেঅবশেষে লেখা আরও পড়ুন…

amrito_purush

অমৃতপুরুষ

হে রাধেশ্যাম, দ্যাখো মুঠো থেকে গলে যাচ্ছে চাঁদ।জোছনায় সেঁকে নেওয়া অবসাদদিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছি রুটি।চোখের কোণে জলছাপ। ভ্রুকুটিলেপে দিয়েছে সুনিপুণ তুলি।তবু, আঁচল জুড়ে খোয়াব আঁকছে আদিম ব্রজবুলি… হে রাধেশ্যাম, দ্যাখো সুতো ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে ঘুড়ি।অবাক অপার্থিব ঠোঁট, আদুরিগলায় মোহ পেঁচিয়ে রেখেভেসে যাচ্ছে ভুলের নিরিখেক্রমশঃ– অর্বাচীন দিগন্তে।স্থবির লোভ এসে চুপিসারে ঘর বাঁধে আরও পড়ুন…

tinti_kobita_debsatya_kumar

তিনটি কবিতা

লাফ আরও একটি দিনখিদের হিসেব নিতে ভুলে গেলাম।সত্যি আরো একটি দিনথালা বাসনের সংসারে লাফ দেওয়া হলো না আমার। রাস্তা ওই তো রাস্তা,ওই তো আমার ঘর।শুধু আমার দুপা জানেকচ্ছপের গল্প অপরাপর।। ফিরে আসা কিছুই তো আসে না কাছেদূরের ওই লাম্পপোস্ট শুধুপ্রতি এক মাইল অন্তর অন্তরফিরে ফিরে আসে

tinti_kobita_satyaki

তিনটি কবিতা

হাত ছুঁয়েছিল কাঁধ  পিঠের খুব কাছে এসে থেমে গেছে হাতযে হাতগুলো কখনও ছুঁয়েছিল কাঁধসেই হাতগুলো দাঁড়িয়ে আছে মুখোমুখিমেঘের মত আঁচর আঁকা অন্ধকারেপেতে চাইছে বৃষ্টি ছোঁয়াজমাতে চাইছে কিছু দাগের ছবিপিঠের জমাট অন্ধকারে নিম ফলের স্বাদ নিয়েচোখ ফেলে রেখেছে বারান্দার কোণেসেই চোখ থেকে নেমে আসা বরফভিজিয়ে দিচ্ছে মাটিভিজিয়ে দিচ্ছে পাতার বসন্ত রঙগাছের আরও পড়ুন…

tinti_kobita_lokhmikanta_mondal

তিনটি কবিতা

বন্দিশ পলাশকে প্রচ্ছদ করেছে মেয়েটি , চড়াই পেরিয়ে বার বার সালংকারা আর বর্ণাঢ্য করার কোলাহলে বন্দিশ পোড়ায় অরণ্যের গাছতলাচারপাশে তৃষ্ণারা জড়িয়ে ধরছে মাটি। হাওয়া স্রোতে ঝোপ ঝোপ ঘরগুলি আজন্ম নতজানু , নিঃসঙ্গ বিবেক দাঁড়িয়ে থাকে দয়িত মধ্যাহ্নে। ভাসে প্রমাদহীন জলকনা , এখনো অনন্ত বিভোর আলিঙ্গন ! অন্ধকার নেমে আসার পূর্বে আরও পড়ুন…

chander_sisir

চাঁদের শিশির

১.বিকেলের ভিতর এসে পড়েছে চাঁদকত নিদ্রাহীন অহরহ রাতে তার পলায়নডাকাতখালির আল পেরিয়েদূর শাঁখের স্তবে,নিজেকে আকুতি সাজাও, পিদিম শিখার আদল তোমার বিমুখনিমের আলোয়, আড়াল হলেইঝরে পড়ে পাতা, দশমীর মায়াবকুল। ২.ভেবেছি সন্ধ্যার হাওয়া। দহনমাসেতুমি পথ ভুলে দশদিক, আউলা যেনকে অপূরণীয় পথ? পথিকের নির্মোহ?মাটির আলোটি ঠায়, পুড়ে যায় সন্তাপে। ৩.বিষণ্ণ জলে দেখি কার আরও পড়ুন…

tushartirtha_guccho_kobita

তুষারতীর্থ-এর একগুচ্ছ কবিতা

রক্তপলাশ আমার হৃদপিন্ড জমা থাকে তোমার তমসুকেজমা থাকে একান্ত সন্ধ্যার শিলালিপিবিষণ্ণ প্রেম তবু বয়ে চলে ধমনীর অন্ধকারেবসন্ত অধ্যুষিত জীবনে আমি হত্যা করিএকের পর এক কবিতাপলাশে পলাশে আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে বিষাদ আখ্যান ক্যাকটাস তোমার ভিতরে বেড়ে ওঠে প্রিয় ক্যাকটাসতীব্র যন্ত্রণাময় অথচ নির্বিকারতবু আদর দাও স্পর্শ দাওজল মাটি খাদসংস্পর্শ লেগে থাকেসবুজ জীবনেউদাসী আরও পড়ুন…