Slide461

ক্যানভাস ও কিছু বিবর্ণ বাক্যালাপ – সিদ্ধার্থ দাস এর সাথে

” Art is never finished , only abandoned ” – Leonardo da Vinci ” দক্ষিনের জানালা ” -র এবারের সংখ্যায় এবার থেকে যুক্ত হলো নতুন একটি বিভাগ — ‘ আলাপচারিতা ‘ । প্রথম পর্বে আমরা বেছে নিয়েছি এক অন্যরকম প্রতিভাকে । যিনি ইতিমধ্যেই তাঁর তুলির জাদুতে ভরিয়ে তুলেছেন অ্যাবস্ট্রাক ছবির আরও পড়ুন…

lashful

লাশফুল

রক্তের পাশে ফুল রেখো নাফুল ভিজে গেলেসংক্রামিত হবে গন্ধ গন্ধের গভীরেজীবনের কুয়ো লজ্জা পেয়েআমার মা আমার বোনআমার বারবণিতাঝাঁপ দিচ্ছে কুয়োয়নতজানু হচ্ছে মৃত্যুর কাছে তুমি ফুল রেখো নাওদের পাশেজল্লাদের উল্লাসেওদের যেন ঘুম না ভেঙে যায় যারা জেগে আছেতাদের ঘুম ভাঙাওজেগে উঠুকতাদের আগুন ফুলের গন্ধ সংক্রামিত হলেএই দেশ ভরে যাবে লাশফুলে

sob nodi gach

সব নদী গাছ

সবুজ দুপুরের পাশ দিয়ে যত নদী বয়ে গেছে কোনো পান্থশালা থেকে তাদের ডাক আসে নি বাসস্ট্যান্ড থেকে চেনা পথের বন্ধু হাতনাড়া দিয়ে ঝড়ের পথে কথা বলে নি যত উপনদী শাখানদী সব এক একটা গাছ বাড়ির পাশ দিয়ে এলেও এখন হাতের নাগালের বাইরে শাসকের ভোঁতা বইয়ে নদীর সংজ্ঞায় আগামীর সারা মন আরও পড়ুন…

duti kobita suvojit

দু’টি কবিতা

দেশহীন যে নদীটার নাম বদলে গেছে বারবার উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত কখনো সাংপো, কখনো দিহং, কখনো যমুনা – তোমার দেশে তাকে কি বলে ডাকো ? যে পাখিগুলো প্রতি শীতে কলকাকলিতে ভরিয়ে দেয় তোমার শহর তার দেশ কোথায় খবর রাখো ? যে বাতাস নিদাঘ গ্রীষ্মের শেষে বয়ে নিয়ে আসে মৌসুমী আনন্দ আরও পড়ুন…

ghumneitobu

ঘুম নেই তবু

এই খাঁ খাঁ দুপুরবেলা অথচ ঘুম নেই। ফুলের টব শুষে খাচ্ছে আমাকে- আমার সব টুকু। জিব্বেরেলিন নিয়ে বাড়ছি। বাবা রোজ জল দিতে এসে। বয়স বাড়ছে, তাড়াতাড়ি করো, ছাতা কিনতে হবে। মা কলপাড় পরিষ্কার করে সন্ধ্যে দেয়, আর রোজ উলু দেয়। ভাঙা গলায় উলু দেয়। সন্ধ্যে নামছে, কোতকতানি পাখি বাড়ি ফিরেছে। আরও পড়ুন…

nokol

নকল

লোকটি বাঘের ডাক নকল করতে পারে নদীপারে জল খেতে আসা অদ্ভুত এক শূন্যতার ডাক। আমরা পরিস্থিতি তৈরি করে দি ‘এইবার হরিণ দেখতে পেলে, এইবার ওই ঘাটে মেয়েছেলে’ লোকটি পাল্টে দেয় কণ্ঠ ঠোঁট কুঁচকে, পেট কুঁচকে বদলে ফেলে নিজেকে। আমরা পরিস্থিতি তৈরি করে দি ‘একটি বড়দেহ পড়ে আছে, ধরে নাও বাঘেরই আরও পড়ুন…

gaachuyeitoliyejsachhekhad

গা ছুঁয়েই তলিয়ে যাচ্ছে খাদ

সে এক আদিম মহীরুহ, আকাশগঙ্গার থেকেও বৃদ্ধ। ব্রহ্মাণ্ডে তার এক বিশেষ স্থান আছে। তার বিপুল বপু চলে গেছে সৃষ্টির এক অসীম থেকে অন্য অসীমে। তার চারপাশে গজিয়ে ওঠা ন’টি জগতের অবস্থান আগলে রেখেছে তার সুঠাম শাখাপ্রশাখা। তার শেকড়, তার শাখাপ্রশাখা চারিদিকে ছড়িয়ে, এমন ভাবে সবকিছুকে জড়িয়ে-পেঁচিয়ে ধরে রেখেছে… এই বিশ্বচরাচরের আরও পড়ুন…

bismilla

বিসমিল্লা

আজ কেদারঘাটে বেশ ভোরেই এসে বসেছেন বৃদ্ধটি। উদিত সূর্য মুখটি বার করার আগেই জীর্ণ শিরা ওঠা কাঁপা কাঁপা হাতে ঝোলা থেকে অতিপ্রিয় কেউটে সানাইটিকে বের করেন। পাত্তুরে ওষ্ঠচুম্বন করে শুরু করেন রেওয়াজ। আহীর ভৈঁরো টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায় কাশীর প্রত্যন্ত গলি থেকে বুরুজে, অপার গঙ্গার জলে তিরতিরে কাঁপন লাগে আরও পড়ুন…

dutikobita

দুটি কবিতা

আমারই ভারতবর্ষ আজ সভ্যতার একটা সকাল আজ সভ্যতার একটা দিন আমি কি বেঁচে আছি ? আমরা কি বেঁচে আছি ? নিরুত্তর একাকী নিজের কুয়াশায় নিজেই অস্পষ্ট চেয়ে আছি ওরা কাঁদছে , কান্নার শব্দ মুহুর্মুহু বন্দুকের নল ঘুরে আছে এইদিকে এখন রক্তেভেজা আর্তনাদ গড়ে আসছে এদিকেই ধর্ম না ঘাতক ? কী আরও পড়ুন…