makeup

মেকআপ

রাত যত গভীরতার দিকে গড়ায় ততোই যেন একটা ভয় চেপে বসতে থাকে বুকের ভেতর ইদানিং। এখন ঘড়িতে সাড়ে এগারোটা মতো বাজে। খাওয়া শেষে মিনতি দৈনন্দিন টুকিটাকি রান্নাঘরের কাজ সারছে। এখুনি ই ডাক দেবে সে। কই গো,,, তোমার সুখটান শেষ হলো! শুনলেই বুকের ভেতর যেন লক্ষ হাতুড়ি ঘা মারতে থাকে। আজকাল আরও পড়ুন…

nicho vuter golpo noy

নিছক ভূতের গল্প নয়

জগদীশ সরখেল বিরক্ত মুখে প্রুফ দেখছেন।লেখাটি তার,নাম ‘দাম্পত্য ঝগড়া থামানোর সহজ উপায়’। তার এই বইটি আসতে চলেছে সামনের বইমেলায়,আর মাত্র একমাস পর।প্রকাশক অম্লান পুততুন্ড এককথায় তাকে জোর করে লিখিয়েছে।তার বিশ্বাস অন্য এগারোটা বইয়ের মত এটাও হটকেক হবে।তাই আগে থেকে কিছু না বলে, একটা নির্জন সমুদ্র সৈকতে পাঠিয়েছে।হাতে যাতায়াতের টিকিট,হোটেল বুকিং আরও পড়ুন…

tatoo

ট্যাটু

মেট্রোর টিকিট কাউন্টারে ঋতিকার সামনে ছিল মেয়েটা। খুরচো পয়সা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল,তাই মেয়েটি অনেকক্ষন কাউন্টার আঁটকে ছিল। এ রোজদিনের ঘটানা। কিন্তু ঋতিকার চোখ আঁটকে ছিল মেয়েটির পিঠে। অদ্ভূত একটা ট্যাটু। ধবধবে ফরসা পিঠে ডিপ কাট কুর্তির জন্য মেরুন আর কালোয় আঁকা ট্যাটুটা কেমন যেন ঝলমল করছিল। ট্যাটুর ডিজাইনটা এক্কেবারে হাটকে। আরও পড়ুন…

snan ghor

স্নানঘর

             স্নানঘর তো কেবল ‘স্নান’ ঘর থাকে না। ওখানেই টয়লেট সিট, বা প্যান বসে যায়। সিস্টার্ণ বসে যায়। চার ফিট বাই সাত ফিটের একটা লম্বাটে স্নানঘরেই কতকিছু। এমনকি কাপড়ও ওখানেই কাচতে হয়। ভাড়া বাড়ির যা হয়। যে থাকবে, সে বুঝুক। দরজার কাঠের ওপরে টিনের প্লেটিং। সেই টিনেও জং পড়ে জায়গায় আরও পড়ুন…

chokh 1

চোখ

গনগনে লাল আগুনের দরজা বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। চারপাশে সহানুভূতির মুখ, কাঁধে সান্ত্বনার হাত। ভিতরের কাঁপুনিটা তবুও যাচ্ছে না তমালের। এখনো হন্ট করে চলেছে সেই দৃশ্য। হাড্ডিসার চেহারাটাতে ছিল তো শুধু গভীর বড়বড় দুটো চোখ। ফুলের ভিড় ঠেলে সে দুটো সত্যিই তমালের দিকে তাকিয়ে ছিল? একবার নয়, বেশ কয়েকবার বিভিন্ন আরও পড়ুন…

nirmala

নির্মলা

  দ্রুতবেগে বাস ছুটে চলছে। গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে আমি আর নিশাত এই বাসটাতে উঠে পড়লাম। ক‘জন ফরেন বায়ার আসায় গার্মেন্টস থেকে বের হতে একটু দেরি হয়ে গেল আজ। অনেক আগেই সন্ধ্যা নেমেছে। হাতে একটা ঘড়ি থাকলে হয়তো নির্দিষ্ট করে সময়ের মাপটা নিতে পারতাম।    আমি আর নিশাত চুপটি মেরে আরও পড়ুন…

jotin o tar vitu bondhura

যতীন ও তার ভীতু বন্ধুরা

ছোটবেলা থেকে যতীন পড়াশোনায় খুব একটা দড় ছিলনা । প্রাইমারি স্কুল থেকেই স্যারেরা কান মলে দিয়ে বলতেন তোর দ্বারা কিস্যু হবে না । তারপর যতদিন গিয়েছে , মানে মাধ্যমিক আর কি … যতীন এই ডায়লগ শুনে শুনে এমন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল যে তার মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণাই হয়ে গিয়েছিল যে আরও পড়ুন…