opekkha

অপেক্ষা

কাছের মানুষ, এই সান্ত্বনা তোমাকে সমুদ্র-সকাল করবে, জলে অর্ধকোমর নামানো দীর্ঘ স্নান শেষ, এত উজ্জ্বল উদয়গাত্র থেকে আঁচল ছড়িয়ে যাবে, সামান্য জবাব। হায়! সামান্য সামান্য অপস্রোত এত অসামান্য নয় অসামান্য ঘোষিত বিনয় এত তবেদারি নেই শীতের আগুন, খাজনা সঙ্গমের আগে সম্ভাব্য আঘাত, একা, ভীষণ ঔদ্ধত্যে থাকো চুপ শীৎকারের চেয়ে তীব্র আরও পড়ুন…

soptom kuasha porob

সপ্তম কুয়াশাপরব

কুয়াশাপরব শুরু হতেই বুকের ভেতর আদিম একটা জোয়ার ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ ৷ সন্ধ্যার পর থেকে যে হিমেল বাতাস ধেয়ে আসে গাজলডোবার দিক থেকে, তার মাঝে সময় কাটাতে ভালো লাগে ছাদের আরামকেদারায় ৷ চাঁদের মিঠে আলোয় একটা দিব্য জলধোঁয়ায় তোমাকে ফিরে পাই গত মরশুমের মতো ৷ কাচের জানালার ধুলো সরিয়ে খুঁজে আরও পড়ুন…

ekdin

একদিন

একদিন বরফের মত জমে যাই শুকনো পাতা গুলো উড়ে যায় পুরনো নদীর জলে একটা বাদামী রঙের ঘোড়া ছুটে গেল ভগ্নস্তূপের দিকে পায়ের নিচে পিষে যায় মরশুমী ফুল তারপর আমাদেরও চোখের দুপাশে নীল জমে শরীরে গড়িয়ে যায় পাখির ছায়া সব ডাকনাম শেষ হলে পড়ে থাকতে ছাই আর ঘুম ভেঙে গেলে চোখ আরও পড়ুন…

oporanho

অপরাহ্ণ

নিঝুম দাঁড়িয়ে গলি ঘরবাড়ি জড়ানো কাপড়ে খুলে দাও,ময়দানে এসো বেলাভূম চিঁড়ে চিন্তা মাপে রোদঘড়ি বিকাল কাছেই হবে! হেলানো ছায়ায় পানকৌড়ি জলে ডুব।বিমুখ ফড়িং বেলেস্তার মুছি মনে আসে ছেঁড়া প্যান্ট,ছুটন্ত টায়ার আর আকাশে তাকিয়ে থাকা ডানা কাটা ঘুড়িটার কথা

e bosonte

এ- বসন্তে

বসন্তের রাত্রি এলে কারা যেন আসে চুপিসাড়ে ভাঙচুর চালাতে, বিরতিহীন যুদ্ধ চলে রাতের পর রাত ধরে। আগুন জ্বলে মনের ভেতর। বেদনার উত্তাপ ভস্ম করতে থাকে, একটু একটু করে সমস্ত ভালোলাগাটুকু…. বাইরের পৃথিবী উপহার দেয় বিরক্তির নিদারুণ অসুখ। আমি একটিবার শুধু উড়ে যেতে চাই জোনাকির মতো, উড়ে যেতে চাই ঘুমপাড়ানি পাহাড়ের আরও পড়ুন…

chhad bihin

ছাদ বিহীন

পর পর পাঁচটি তেজস্ক্রিয় প্রয়োগের পরও বেঁচে গেলাম — … আর একটু রাত হলে খুলে রাখব সব সংস্কার । মাথা ফুঁড়ে উড়ে গেল একটা প্লেন — স্নায়ুর অক্টোপাসের গিঁট খুলে যাচ্ছে একটু একটু করে, আজ যুদ্ধের বিষয়ে কিছু বলব না, তোমরা ঘুমিয়ে পড়তে পারো কেউ দায়বদ্ধ নও তোমরা। প্রতিশ্রুতি আর আরও পড়ুন…

phinixer theory okkhore

ফিনিক্সের থিওরি , অক্ষরে

কবিতা হলো কাঠকয়ালার আগুন , আর কবি হলেন দমকা হাওয়ার মতো । খাতায় ক্ষুদ্র আগুন বলয় রেখে কখনো অবিন্যস্ত ভাবে দুএকটা অনার্য অক্ষর লিখে গোবেচারা কবি সম্পাদকের কাছে নাম-গোত্র-বর্ণ লিখে প্রসাদ চড়িয়ে আসেন । তারপর রাত হয় । প্রজাপতিরা ঘরে ফেরার আগে একবার পেঁচার মাথায় চড়ে ঘ্রাণ নেয় । সমাজ আরও পড়ুন…

batil

বাতিল

নিবিষ্ট ভোমরা আছে ভিতর প্রদেশে মধুময় দেশ ঠিক খুঁজে নেবে আমার চুক্তির ঘরে দড়াদড়ি আমার চুক্তির ঘরে দাস‍্যরস তোমার তুমুল গন্ধে নাক ভরে আছে অভ‍্যাসের সব খাতা বাতিল বাতিল বাতিলের স্তুপে আমি বসন্তের পতাকা ওড়াবো

valo achi jevabe

ভালো আছি যেভাবে !

দিগন্তরেখা সেদিনও সীমাতেই থেমেছিলউড্ডীয়মান পাখিরা আকাশে,কদমগাছের শিকড় অগভীর তলেআমার ক্ষুদ্র মন পূর্ণ দীর্ঘশ্বাসে । মহুয়াবনে সেদিন ছিল না মাতলামিকুয়োর ছিল না তলানোর ডাক,শিউলির গন্ধটা বড্ড সেকেলেদুই একটা কথায় হত ক্ষিপ্র রাগ । পুজো পুজো গন্ধটা উবে গেছিল কবেকুমোরটুলির মূর্তিরা পঙ্কিল শব,ঢাকের কাঠিতে মন ছলকে না কেনআঃ চারপাশে কেন বিরক্তিকর কলরব আরও পড়ুন…