পঙ্কজ চক্রবর্তীর দু’টি কবিতা
পরম্পরা
মাটির অক্ষর ফুটে ওঠে ঐ যোনিদেশে। তোমাকে পরার্থ
ভাবি। এই দেহ সমস্ত ধারণের অতীত। ঠগিনীর সাম্রাজ্য।
আমাকে নষ্ট করে তবে এই বানিজ্যবিস্তার। মহতের
মুখোমুখি ভোরের আলো কেঁপে ওঠে। একটি মানুষ
দিগন্তে তুলেছে ঘরবাড়ি। সব পথ ঢেকে আছে জলে ও
জঙ্গলে
লোকমুখে প্রচারিত দৈব পরম্পরা। মাটির অক্ষরগুলি,
নেহাতই আত্মসুখী, গর্ভবতী, তোমার দুহাতে নেভে জ্বলে…
নিজস্ব
কয়েকটি গাছের ফাঁকে তোমাকে দেখে নিই ব্যর্থ
রাজকুমার। যেকোনো সূর্যাস্তে তুমি ফোটাও অতিকায়
ফুল। চলার পথে তোমার আগন্তুক বুনো মায়া। এখন
ছায়ার পাশে এসে বসে নিজস্ব সংবাদদাতার ঘন চোখ।
বারোয়ারি শস্যের দিকে মানুষ চলেছে। অথচ তোমরা
জরির পোশাকে লেগে আছে গত সপ্তাহের ধুলো। এই
মর্মে মানুষ প্রতিদিন বাঁচে। আর তার মনের পাথর
দেবতার স্বরে কথা বলে।
শতাব্দী পেরিয়ে কয়েকটি গাছের ফাঁকে বর -বউ খেলা।
জানলা খুলে দেখা হল না আমার সন্তানের ঈষৎ যৌনতার
মেয়েলি স্বভাব।
0 Comments