বনজ মৃত্যু
শীত ছেড়ে গেছে বহুদিন।
গাছেরা একা হয়ে আছে
একে অন্যের দিকে তাকিয়ে দেখে কেউ কি কিছু পেল!
কোথায় কোন ফুল ফুটল!
শুকনো পাতা মচমচে হয়ে উড়ে যেতে চায়
হাওয়া নেই।
যে পাখি যে ডালে বসে বছর বছর
অতীতাশ্রয়ী চোখও তারে খুঁজে পায় নি।
অথচ দিন মাস কাল খোলা পিঠের মধ্যে রোমকূপ সেজে
আছে বসন্ত আসবে ছুয়ে দেবে বলে|
আমি জানি না
কার সাথে যাব
কার সাথে দূরত্ব বাড়াব।
আমি জানি
পরাগ পরাগ খেলা চলে
ছুঁয়ে দিলে আবার জড়াব|
তথাগত তুমি পূর্ণ করো আমারে।
উপড়ে ফেল শুভাব্রতের চোখ;
কাষারপণ আর এই শুন্য বৈশালী-ফেলে দাও উচ্চকোটির মস্তকে।
আমি তো চাই অগম্য তারে।জল থেকে ধুয়ে বারবার উঠে আসে সে মন্দিরে।
ভোগের থালায় বসে।খিদের চোখে দেখেছি ঘুরতে বিম্বিসারকে।
দেখলাম কতবার সেখানে হাত পাততে….
আমি মন পেতে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকব। মাসকাবারের খরচার মতো তুলে নেব।
ঈশ্বরের মতো চোখে তাকালেও ভেতরে দানব জ্বলে-
আমিও জলে নামব|
ফুলের গন্ধ প্রদত্ত।
ফুলকে ফুল না চিনলেও চলে।
ফুলের সামাজিকতা মৌমাছি রক্ষা করে।
মানুষকে সমস্তই অর্জন করতে হয়।
মানুষের কাছে বিশুদ্ধ হয়েই দাঁড়াতে হয়|
0 Comments