অভিষেক নন্দী-এর দু’টি কবিতা
পেসমেকার
১.
চাঁদের পৈতৃক ক্ষত নিয়ে ফুল তুলতে যাই?
মাধুর্য থেকে খসে পড়ে বাড়তি দশটা মুখ
স্রোত চিরে, এসেই যখন পড়েছি
রূপকথা, আমাকে কি ‘কৃষ্ণ’ নামে ডাকবা?
তোমার বাড়ি যাওয়া হয়নি, না?
এভাবে সারেগামাপা পেরিয়ে অসুখের নাম
ভালোবাসা হয়ে যায়…
এবার যদি মাধুর্য থেকে দুটো মুখ কম খসে পড়ে,
বার-বার মারা গিয়েও, বাড়ি ফিরে যাব—
ঠাণ্ডা ভাতে হাত রেখে, ভুলে যাব প্রিয় ঋতুর নাম
২.
প্রকৃত অশ্বক্ষুরাকৃতি বোধ একটা টগবগহীন শব্দ
এই অসম্ভব, আমাদের দিক ছুঁয়ে দেয় তার বেশ্যাবৃত্তি
ভিজে ওঠা সম্ভাষণ, পায়রাদের তাড়া গেঁথে
ক্লান্ত হয়ে ‘চুম্বন’ ছদ্মবেশে পড়ে আছে পৃথিবীতে
চাকা-ই চাকায় থিতিয়ে আসছে…
থিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে লাইনটানা খাতার আকুতি?
লেজ ও গাছেদের থেকে ভোগবাদ বেশি দূরে না থাকলে
আপেল-খোসার ভেতর
নিউটনের মায়ের জন্ম দ্বিতীয়বার হবে আজকে সন্ধেয়
৩.
এসো মদ হই
এসো শরীর নিয়ে কথা বলি
অস্ফুট রজনীগন্ধায় দোদুল্যমান দু’টি পা থেকে
ছিটকে পালিয়ে যাওয়া প্রণামটিই আমাদের আলমারি
মাছের চোখ থেকে খুবলে তুলি দামি পাথর!
এতসবের ভেতর প্রতিবার নতুন করে জাপ্টে ধরব বলে,
বারংবার তোমাকে ছেড়ে দিই…
যতবার মদ সেজে অপেক্ষায় থাকি, টের পাই—
এখনো ভাস্কর চক্রবর্তী রাত জেগে
কবিতা লিখেছন আমাদের জন্য…
তল্লাশি ও প্রেম
১.
পৃথিবীর সমস্ত সুন্দরী নারীই আমার প্রেমিকা
তাদের প্রত্যেকেই একথা জানতে—
আমার সমস্ত প্রেমিকা হারিয়ে গ্যাছে শালবনে…
ফুলবাগান চত্বরে
এখন আমি রাষ্ট্রপতির মতন একা…
২.
মুড়ির কৌটোয় প্রেমিকাদের-নাম লুকিয়ে রেখে,
মার্জিনের পাশে সমাপ্তির বিষ খেতে বসি;
রাতে কালো-পোশাকের গোয়েন্দা আসে;
খানা-তল্লাশি চালায়;
ভেজা ঘাসের-ওপর চিরুণি দিয়ে আচড়াতেই
কালো উকুন ঝরে,
সাদা খুশকি ঝরে,
শিকড় সমেত উঠে আসে ঋতুমতী-দূর্বা…
‘মুড়ির কৌটোয় মুড়ি থাকে’
ছুঁয়ে দ্যাখে না…
0 Comments