সপ্তম কুয়াশাপরব
কুয়াশাপরব শুরু হতেই বুকের ভেতর আদিম একটা জোয়ার
ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ ৷ সন্ধ্যার পর থেকে যে হিমেল বাতাস
ধেয়ে আসে গাজলডোবার দিক থেকে, তার মাঝে সময় কাটাতে
ভালো লাগে ছাদের আরামকেদারায় ৷ চাঁদের মিঠে আলোয়
একটা দিব্য জলধোঁয়ায় তোমাকে ফিরে পাই গত মরশুমের মতো ৷
কাচের জানালার ধুলো সরিয়ে খুঁজে পাই তোমার সুবাসিত
নিঃশ্বাস আর তাকে জড়িয়ে নীরব তোলপাড় ৷ হিম গাঢ় হয় ৷
আমার মাথায় ঘন হয়ে আসে সোনাঝুরি মেঘ – আনমনে
মেঘের সুরঙ্গে খুলে দিই বুকভাঙা রিমঝিম অসুখ আর
সুন্দরে সেরে নিই এক সোনালি স্নান ৷ পথবাতির আলোয়
ছুটে চলে গাড়িগুলো ; আমি তাদের পেছনে একটু একটু করে
আমার শূন্যতা বেঁধে দিই ৷ পাশের ছাদের সন্ধ্যামালতী ঘেঁষে
দাঁড়াও তুমি – এটুকু দূরত্ব স্বাভাবিক এতটা সময় পর ৷
এতটা দীর্ঘ সময়ের মধ্যে যা যা লিখেছি পড়তে শুরু করি
একের পর এক ৷ চাঁদ, কুয়াশা, সন্ধ্যামালতীর গন্ধ – সবকিছু
মিশে গিয়ে ভরিয়ে তোলে কবিতার রোমাঞ্চিত চারণভূমি ৷
আর ঠিক তখনই কখন যেন হঠাৎ তুমি চলে আসো কাছে,
বরফ হাতে, ঢেলে দাও গ্লাসে, কিছুটা চোখের পাতাতেও ৷
একচুমুকের ভেতর কবিতা, চাঁদ, কুয়াশা, দূরত্ব… ডুবিয়ে রেখে আমি
ডুবে ডুবে রবাব বাজাই এলোমেলো তোমার আফিমসাগরে ৷
0 Comments