শৈশব
১.
বিকেলের মিষ্টি রোদের মত স্মৃতিরা নেমে আসে। শৈশবে
হামাগুড়ির মৃদু উচ্ছ্বাসে বাবার হাতের স্পর্শে নিশ্চিন্ত ঘুম।
চোখের পাতায় তারা নক্ষত্রের ভিড়। ভিড় ঠেলে
উঁকিঝুঁকিতে কালপুরুষ, জানায় চঞ্চল রামধনুর অভিমান।
২.
কতকাল হল রঙের সঙ্গে খেলা হয়না, রঙিন হয় না
মনের দেয়াল। রঙটা আজকাল কালো। বিদ্যুৎ
ঝলকানিতে মুহূর্তে ফুটে ওঠা সান্তার গিফ্ট- নরম অনুভূতির
আভরণ।
৩.
বর্ষার আভিজাত্যময়ী নদী প্রতিবাদহীন রক্তের শিরায় শিরায়
বয়ে চলে নরম পলি কাঁকর, অবুঝ শৈশবের মত।
ঝাউগাছ আজও দুলে ওঠে, খেলা করে নরম ধানের শিষ।
আমরা ঢিল ছুঁড়ে দিই আকাশের দিকে। আরও ঘনিয়ে ওঠে
কালো। কালবৈশাখী হাসিতে আলমোড়া ভাঙে শিশু শৈশব।
৪.
গন্তব্যহীন সামনে এগোতে এগোতে ভুলে গেছি
হামাগুড়ির চারমিং।প্রখর রোদ দুয়ারে কড়া নাড়লে খসে
পড়ে জবাফুল।
৫.
বাবার অনুপস্থিতির মত ন্যাড়া বটগাছ। দেবদারুর ছায়ায়
নেমে আসে কালো রাত। মায়ের মমতা ভরা স্পর্শে কালোর
মধ্যে ফুটে ওঠে সাদা ঝলমলে স্বপ্ন। রামধনু রঙের রঙিন
স্বপ্ন। কেন্দ্র-বৃত্তের পাক, নরম শিশির ভেজা সকালে জেগে
ওঠে জীবন।
0 Comments