কৃষ্ণধন
…মিষ্টির দোকান খুলেছে শুনে দুব্বোদলুনীর মতো আমিও তোমার বুকে উঠে বসলাম। তোমার নন্দগোপালের ছ্যাঁদায় কানের কুহর রেখে শুনলাম, বিধি গয়লানীর বেয়াড়া বাছুর টা সন্ধেবেলা দুধ পায়নি বলে হাম্বা হাম্বা ডাকছে।
অসময়ের শাবক; আদত্ এ তৃণভোজী সম্বিতএ এঁড়ে।
তার কানপাশাড়ে রগড় করলে কচি দুখান শিং উজিয়ে ঘন্টা দোলা দেয়। রুনুঝুনু করে।
তার টুং টুংএ হেসে মরি, কেশে মরি, শেষে ভালোবেসে মরি; এমন এঁড়ে ছা।
অমন গলকম্বল দেখলে আমার হাত সিরসির করে, মন নিশপিশ করে। ষাঁড় বলদের জ্ঞান থাকেনা।
গইলের মালিক সব খবর রাখে নন্দগোপাল। তুমি কখন কৃষ্ণধন বুকে করে এধার ওধার করো; মন্দিরে গে উপুড় হও; চন্নমেত্ত মুখে নাও;
সব খবর রাখে। গাভীনে তার খুব প্রেয়োজোন, ঐ দুধে সিন্নী চড়ান, ঐ দুধে টিউকলের জল মিশিয়ে তার বটুয়া ভর্তি টাকা, তার ঘরে মোজেইক্ করা মেঝে।
এসব ঝরতি পড়তি কথা আমি উড়তে উড়তে শুনতে পাই, আর খেলনা বাটির পুতুলের বিয়ে দেই তোমার সাথে। ইঁটের গা কেঁখে হলুদ আনি, সফেদা কাঁচায় ভেঙে জলসা আঠায় চামচ ভরে দেই, আগাছ ফলের লালপিছন টিপে টিপে মধু বার করি।
জিভের ডগে ঠেকাই, আর ঠেকে ঠকে মরি । তবু বিবাহ বলে কথা!!
সারাদিন তোমার পুতুল ইলেক্টলের জল ছাড়া আর কিচ্ছুটি খায় না।
আর তুমি!!
তামাক সেঁকে নাকের গোড়ায়, ঠোঁটের গোড়ায়, গোঁফের গোড়ায়, ঝোঁপের গোড়ায় ধরতাই দাও। আগুন দিলে পুড়ে মরো, ফু দিলে উড়ে মরো, নাম দাও সিগারেট।
এবার বলো,
দোষ কার?
দুধে মেশানো ছলের! না ইলেক্টলের জলের! খেলপুতুল এর বিয়ের! না দুব্বোদলুনীর ইয়ের!
হিসেব করতে করতে জনমের ছানা কেটে ফেললে নন্দ ঘোষ!! মিষ্টির দোকান খুলেছে তোমার লকডাউনের বাজারে।
0 Comments