গণিকা
১.
ধরো স্পর্শটুকু পেতে এই অভিনয়
আড়চোখে দেখা ছুটন্ত ডানা
দীর্ঘ নয় পথ, তবু
স্বতন্ত্র আভাটুকু নিয়ে
ধূসর স্থাপত্য গড়ে তোলে
ক্ষীণ আলোয় জেগেছে সংশয়
এ শহরে গুজব চারিদিকে
২.
তারা আর ফিরবে না
মেঘ ভরে আছে আঙ্গুলের ফাঁকে
তটরেখা সরে গেছে জেনে
প্রাচীন বন্দরের গণিকারা
ফুল হয়ে ফুটে ওঠে দ্বীপে
উল্কির দাগ নিয়ে রাতগুলো
চলে গেছে দূর থেকে দূরে
৩.
যৌবন চলে গেল। হে বাতাস ধীরে বও..
তোমাকে খুলে বলি
মৃতস্থানে ঝরেছে বরফ, শিথিল হয়েছে তরঙ্গ
নাবিকের গানে চুপ করে থাকে
মশলা-দ্বীপ
যে গাছ কবিতা লেখে
তুমি তার কাছে বসো
অপরিচিত নৌকায় ভেসে যায়
আলোকিত বন্দর
৪.
সে এক মধ্যরাত
সমুদ্র মুছে গেছে চোখ থেকে
অসংখ্য দীর্ঘশ্বাসের পর
ঘাম ঝরে….
ওই সিক্ত স্তনযুগলে
আর কোনও বিদ্বেষ নেই
৫.
তটভূমি থেকে বহুদূরে চলে গেছে
ভুলে গেছে সহজ মানুষের গলা, আর
জেলেদের ভাঙাচোরা কুঁড়েঘর,
সময় বয়ে যায় স্পর্ধার রেশটুকু রেখে
এখানে মদের বোতল – অতীত বেদনাক্ষত
আরও দক্ষিণে বাতাসের কথা
গৃহমুখী গাঙচিল বয়ে এনেছিল
৬.
একটা ভোর হেঁটে এলো তীরের দিকে
বেলাভূমি পড়ে আছে
এবং নক্ষত্রদল
জলের মধ্যে পালটে যায় ভাবনাগুলো
জরা এলো, সাদা চুল
নরম বিছানা বিদ্রূপ করে
আড়ালে লুকিয়ে পড়ে ক্ষেতখামার
কামনার ফুলমালা
দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ হয়ে এলে
সময় জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়
0 Comments