মুক্ত-গদ্য
লকডাউন এবং
কী মজা কাল থেকে লক ডাউন । এটাই ছিল তাদের সমস্বরের কলকলানী । ওদের ঘরের দখিন দিকের দেয়াল জুড়ে সমুদ্র । সমুদ্র থাকলে যা হয় সব সময় ঢেউ , গর্জন , আর উথলনো হাওয়া । চুল উড়োয় , বসন উড়োয় , ঘরটা সন্ধে থেকে আর ঘর থাকে না । লক আরও পড়ুন…
কী মজা কাল থেকে লক ডাউন । এটাই ছিল তাদের সমস্বরের কলকলানী । ওদের ঘরের দখিন দিকের দেয়াল জুড়ে সমুদ্র । সমুদ্র থাকলে যা হয় সব সময় ঢেউ , গর্জন , আর উথলনো হাওয়া । চুল উড়োয় , বসন উড়োয় , ঘরটা সন্ধে থেকে আর ঘর থাকে না । লক আরও পড়ুন…
আলো প্রসারিত হচ্ছে। আর ডানা ঝটপটানি নেই। সেও তো বলেছিল ইহা একটি ঘেয়ো হৃদয়! আমি অমঙ্গলের ইতিহাসে দাগ টেনে ঘুরে বেড়াই।স্বস্তিকা চিহ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলি। ঘষে দিই যতি দুপুরের ঘামে মেলতে থাকা অন্তর্বাস গুলো―সে ব্যবসায়ী আমাকে চেনেনা অথচ আমার সওদা বুঝে নিল। আমার সাফল্যে পানপাত্র উঁচু করে বলেনি চিয়ার্স! ভিড় আরও পড়ুন…
ছোটবেলা পুজোর দুটো পর্ব ছিল।কাঠামো তৈরি থেকে ঠিক পঞ্চমীর রাত পর্যন্ত ছিল প্রথম পর্ব। তারপর ষষ্টি থেকে দশমী ঠিক যেন ভোর থেকে গোধূলি অতিক্রম। মনে হতো নিমেষে পুজোটা শেষ হয়ে গেল। তাই প্রথম পর্বটা ছিল খুব কাছের। সেখানে মুহূর্ত গুলো নিঃশব্দে আস্তে আস্তে হেটে যেত । প্রতিদিন একটু একটু করে আরও পড়ুন…
সমস্ত জীবন ধরে আমি আদতে কিছু গলি সংগ্রহ করেছি। মাঝ দুপুরে রেলগাড়ি থেকে নেমে অথবা রাতের বেলা কোনও অচেনা অজানা জায়গায় এক একটা গলি আমাকে টেনে নিয়ে গেছে। কিছু গলি শুরু হয়ে অপর গলি বা রাজপথে মেশে। কিছু গলির একটা না মেশা আছে। অন্ধের মতো সে দাঁড়িয়ে থাকে নিজেরই শেষ আরও পড়ুন…
কিছু কিছু সময়ে একটা উৎসবের ভেতর থেকে জনপদ খসে পড়ে আচমকাই। ভিড় ফুরিয়ে যায়। মেলা ভেঙে আসে। একা একাই খালি হাতে বাড়ি ফিরে আসে রঙিন বেলুন বিক্রেতা। অসুখের আবহাওয়ায় মানুষ সন্দেহপ্রবণ হয়ে যায়। একটা জনপদ থেকে উৎসব ক্রমশ দূর ও বিন্দু সমান হয়ে যাচ্ছে দেখেও মানুষ ঘরে ফিরে আসে। ফিরে আরও পড়ুন…
শহরের আড্ডাগুলোর অসুখ করেছে। পরিত্যক্ত ফলের ঝুড়ির মতো পড়ে রয়েছে আড্ডার অতীত গায়ে মেখে মোড়গুলো। সেখানে কথারা বৃষ্টি হয়ে নামে না বহুদিন। এখন বাইরের জগৎ বলতে খোলা ছাদ। কর্মক্ষেত্র বলতে বেশ কিছু টবের গাছ। যত্নে যত্নে সেগুলো কবে যেন গান গাইতে শুরু করেছে। অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে। একটা ঘন সবুজ আরও পড়ুন…
ধরুন আপনাকে একটা প্রেম লিখতে বলা হলো, তাহলে কি লিখবেন? আমি, তুমি, ভেজা চুল, নরম ঘাম বা দু’টো আঁধখোলা চোখের ওপর থেকে চুল সরানো। হতেও পারে, রোজ ঘন্টা খানেক ফোনের মধ্যে সারাদিনের যাবতীয় করণীয় কাজ বা দু- চারটে অভিযোগ। তারপর দেখা হলে গলা জড়িয়ে, কপালে চুমু….. ওমা! সেকি আরও পড়ুন…
বৈদ্যুতিক নাগোরদোলার সওয়ারী আমরা অনেকেই।ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ফকফকে আলো জ্বলে উঠছে যে গতিতে, সেই গতিতেই বেড়ে চলেছে নিচু দৃষ্টিশক্তির মানুষের সংখ্যা। নিয়তিকে যতই দূর করি ঘর থেকে , সে ততই সন্ধেবেলা ঘরে ফিরে আসা রাজহাঁসের মতোই, ফিরে আসে ঘরে।তারও আমাদের জীবনের সঙ্গে একটা সম্পর্ক আছে।সেই সম্পর্ক নিমপাতার মতো তিতো, না আরও পড়ুন…
গড়পড়তা বাঙালির যেমন আচমকাই পদ্য লেখার বাতিক গজায়,আমারও তাই।গড়পড়তা বাঙালি মেয়ে ছোট থাকতে ফি রোববার খাতা হাতে গান দিদিমণির বাড়িমুখো হয়,আমিও তেমন।এই যেমন ভোরবেলা ঘুম চোখে চেনা কিছু বন্দিশ আর জাগো মোহন প্যারে…,অথবা পঁচিশে বৈশাখ শুভ্র নব শঙ্খ তব…আর অগাস্টের পনেরোই ,নীলশাদা ইউনিফর্ম আর অবাধ্য ব্যলেরিনায় গেমটিচারের কড়া মার্চপাস্ট।তখন পতাকা আরও পড়ুন…