ek ascharjya jadukor

এক আশ্চর্য চোর অথবা জাদুকরের গল্প

আজ এক আশ্চর্য চুরির গল্প বলবো। এই গল্পের নায়ক সেই ধূর্ত চোর, যে কিনা বন বাদাড় পাহাড় জঙ্গল খুঁজে তুলে নিয়ে এসেছিলো এক বিস্ময় জাদুকরকে। সে জাদুকরের কাছে ছিলো অনেক আশ্চর্য বেলুন, যার মধ্যে কোনোটার রঙ ছিলো লাল, কোনোটার গেরুয়া আবার কোনোটার মধ্যে ছিলো নকল হীরের মিথ্যে আভা। অথবা এ আরও পড়ুন…

sukh onugolpo

সুখ

দিনভর ক্ষেতে খামারে কাজ সেরে বিকালে ঘরে ফিরতেই বউয়ের খ্যাঁচখেচি শুনতে হল নবীনকে। মেজাজটা কীভাবে ঠিক থাকে? আজ রোদও চড়া। ধান গাড়ার সময়। হাতে প্রচুর কাজ। অনেক কষ্টে রাগ সামলে বলল- দ্যাখ হাসি, মাথাখান গরম আছে, ঠিক করে কথা ক। – ক্যান খারাপটা কি কইসি? -কিছু কোসনি, থাম এখন। – আরও পড়ুন…

ekti sada cithi

একটি সাদা চিঠি

ক্লাস নাইনে ছেলেটির নামে ডাকটিকিট ছাড়া একটি চিঠি এল। প্রথম চিঠি। পিওনকাকু বলল,টাকা লাগবে, নিবি?ছেলেটি বুঝছিল না, এই চিঠি নেবার মধ্যে প্রশ্ন উঠছে কেন? জীবনের প্রথম চিঠি কেউ না নিয়ে পারে?ছেলেটি বলল, লাগুক টাকা আমি নেবাে। যারা বার বার তাকে বারণ করল সেই সব দাদা ও দিদিরা হাঁ করে থাকল,চিঠির আরও পড়ুন…

bosonto ese geche

বসন্ত এসে গেছে

বসন্তের গন্ধ নিতে গেলে বনে যেতে হয়। বসন্তে নাকি বনের ভেতর একটা মাতোয়ারা গন্ধ পাওয়া যায়। গন্ধটা রুমির ভীষন চেনা। যখন বাথরুমে শাওয়ারের নীচে এসে দাঁড়ায় ঠিক তখনই ওমন একটা গন্ধ পায় রুমি। এই গন্ধটাই কি ফিরদৌস আতরের ? কে জানে! রুমি এপ্রিলের জাতিকা। টি এস ইলিয়টে পড়েছিল,এপ্রিল ইজ দ্য আরও পড়ুন…

hablu 1

হাবলু

মুখুজ্যেমশাই জানে হাবলু তার দাদার মতো না, টেনেটুনে পাস দিয়ে এইবারে এইট। বইখাতায় মন নেই, মাথা আছে। এদিকে পেন, পেনসিল, ইরেজার মুখুজ্যেমশাই প্রায়ই নিয়ে আসে। লাগলেও, না লাগলেও। কাগজও। বাঁধানো, রুলটানা, শাদা। হাবলুকে নিয়ে মুখুজ্যেবাড়িতে সবারই খুব দুশ্চিন্তা। কাজের মাসি বুড়িমাকে হাবলু ভালোবাসে। বুড়িমা তাকে ছাতিমফুল এনে দেয়, ডাঁসা পেয়ারা, আরও পড়ুন…

orna

ওড়না

— শোন সুশীলা, তুই তোর সাহেবের সামনে কাপড়চোপড় ঠিক কইরা আসবি। আমি খেয়াল করছি তার সামনে আসলেই তোর শরীর ঢলঢল করে। টলটল করে। তোর ওড়নাটা কইলাম সাবধানে রাখিস। ঠিক আছে ? — জ্বী আপা। — আপা ! কিসের আপা ? কার আপা ? তুই আমাকে ম্যাডাম বলে ডাকবি। আরেকটা কথা আরও পড়ুন…

snan ghor

স্নানঘর

             স্নানঘর তো কেবল ‘স্নান’ ঘর থাকে না। ওখানেই টয়লেট সিট, বা প্যান বসে যায়। সিস্টার্ণ বসে যায়। চার ফিট বাই সাত ফিটের একটা লম্বাটে স্নানঘরেই কতকিছু। এমনকি কাপড়ও ওখানেই কাচতে হয়। ভাড়া বাড়ির যা হয়। যে থাকবে, সে বুঝুক। দরজার কাঠের ওপরে টিনের প্লেটিং। সেই টিনেও জং পড়ে জায়গায় আরও পড়ুন…

nirmala

নির্মলা

  দ্রুতবেগে বাস ছুটে চলছে। গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে আমি আর নিশাত এই বাসটাতে উঠে পড়লাম। ক‘জন ফরেন বায়ার আসায় গার্মেন্টস থেকে বের হতে একটু দেরি হয়ে গেল আজ। অনেক আগেই সন্ধ্যা নেমেছে। হাতে একটা ঘড়ি থাকলে হয়তো নির্দিষ্ট করে সময়ের মাপটা নিতে পারতাম।    আমি আর নিশাত চুপটি মেরে আরও পড়ুন…

chor muktarpur

চর মুক্তার পুর

সন্ধ্যা নামলেই বাতাস ঘন হয়। সদর দরজায় খিল পড়ে। সূর্য্য ডোবার আগেই রাতের খাবার শেষ। মাটির দাওয়ায় জ্বলতে থাকে নিভু নিভু লম্প। অপেক্ষা। অপেক্ষা। শন শন করে হাওয়া বইবে। কু…. কু….. কু…… হাড় হিম করা আওয়াজ। নদীর তীরে ধরে, তরমুজ খেত পেরিয়ে। লম্বা… লম্বা….. কালো ছায়া। কুঁড়ে ঘর গুলোর খড়ের আরও পড়ুন…