taimur_khan

তৈমুর খান-এর একগুচ্ছ কবিতা

মৎস্যগন্ধার দেশে আমার বিকেল নিয়ে চলে যাচ্ছে কারা ?ব্যস্ত শহরের এককোণে বসে আছিগ্রাম থেকে উড়ে আসা কাক —সঙ্গে সেই মফস্বলী হাওয়াখালিগায়ে রোদ মেখে নেওয়া এসব ভাবে না শহরলোহার মানুষ হাঁটে দ্রুতঅথবা প্লাস্টিকের রমণীসোনার বিস্কুট খায়পিতলের ছেলে মেয়ে জীবিকার ছিপ হাতে সারাদিন কাটেকংক্রিটের জলে বিকেল ডুবে যায়একটাও স্নেহের মাছ নেইমৎস্যগন্ধার দেশে আরও পড়ুন…

mirror_poetry

কবিতা আত্মসত্যের মিরর অথবা মিরর পোয়েট্রি

জীবনের জলে আমাদের ছায়া পড়েছে। সেইসব ছায়া আত্মরতির জটিল মুগ্ধতায় বিপন্ন ইশারা । আমাদের কদর্য উল্লাস, অবদমিত আকাঙ্ক্ষার মর্মোচ্ছ্বাসে ফেনায়িত বিধুরতায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে। এই সময় আমরা কী কবিতা লিখতে পারি? যে কবিতা লিখতে পারি তা মিরর পোয়েট্রি। আপন অস্তিত্বের ছিন্ন খণ্ডগুলির আদিমতা, নীরবতা, ভয়ঙ্করতা, ক্রূরতা, আবিলতা, কুশ্রিতা এবং স্বপ্নচারিতাই আরও পড়ুন…

dutikobita

দুটি কবিতা

আমারই ভারতবর্ষ আজ সভ্যতার একটা সকাল আজ সভ্যতার একটা দিন আমি কি বেঁচে আছি ? আমরা কি বেঁচে আছি ? নিরুত্তর একাকী নিজের কুয়াশায় নিজেই অস্পষ্ট চেয়ে আছি ওরা কাঁদছে , কান্নার শব্দ মুহুর্মুহু বন্দুকের নল ঘুরে আছে এইদিকে এখন রক্তেভেজা আর্তনাদ গড়ে আসছে এদিকেই ধর্ম না ঘাতক ? কী আরও পড়ুন…

taimurkhan 2tokobita

তৈমুর খানের দুটি কবিতা

রাখাল আমার অযোগ্যতা প্রমাণ হইল । সমস্ত গাঢ়লগুলি বৃক্ষছায়ায় আনিয়া বিশ্রাম হেতু টুপি খুলিলাম । মরুভূমি ধুধু করিতেছে সমস্ত হৃদয় শুষ্ক হইয়া গিয়াছে । বহুদিন বৃষ্টি হয় নাই কোনও যুবতী ঝরনা কল্ কল্ শব্দে হাসিয়া উঠে নাই । ক্লান্ত প্রাণ লইয়া সারাজীবন রাখালি করিতেছি । এই বিদগ্ধ মাঠে গাঢ়ল চরাইতেছি আরও পড়ুন…

daak

ডাক

কোথায় রাখব প্রেম? স্মৃতির বাগানে সব কোকিলেরা ডাকে বিগত উন্মুখ এসে অতীত জাগায় আলো-অন্ধকারে হাত কার হাত চায়? মৃদু কম্পন এসে এ নিরালা ভাঙে দৈবগানের দিন মরমিয়া খোঁজে সমস্ত বিষাদ ধুয়ে আবার দাঁড়াই আবার পালকগুলি উড়ানের নির্ভিক প্রত্যয় এ ভোর বসন্ত ভোর ডাক দিয়ে যায়