soumalya_garai

সৌমাল্য গরাই-এর দু’টি কবিতা

রাক্ষস কথা প্রত্যেক রাত্রিতে আমি রাক্ষসটিকে ছেড়ে দিয়ে আসি গ্রহাণুপুঞ্জের ঘরে। নীল হয়ে যায় আচ্ছন্ন আকাশ, শবদেহ ফুটে ওঠে তারায় তারায়। দূর কালো মেঘে চাঁদ তার নারীটিকে খায়, এবং পুরুষ হয়, নরম আগুনে রান্না করে জন্মাঙ্গ। এক আদ্যাশক্তি মহাবিদ্যা দিয়ে রাক্ষসকে প্রাণপণে সৃষ্টি করে। প্রবল ঘূর্ণির মুখে পড়ে বাতাসেরা ঘোড়া আরও পড়ুন…

soumalyo-gorai-guchhokobita

সৌমাল্য গরাই-এর গুচ্ছ কবিতা

আয়না এমনই স্ফটিক স্বচ্ছ শরীর প্রদীপঅন্ধকারও নীচু হয়ে বসেদূর থেকে যেন লজ্জানত মেয়েযত কাছে যাবে উজ্জ্বলতা বাড়াবে দুহাতেভালবাসা এরকম মূককিছুটা আলো না দিলে তোমাকে সেদেখাবে না মুখ গলিপথ মুঠো ভরে আসে চেনা দুঃখেরঅলিখিত অন্ধকারে তুমি হাওয়ার স্যাক্সোফোনবুকভরা দীর্ঘ নিঃশ্বাসের পর থেমে থেমে যাওযেন পায়ের নীচে লেগে আছে কোনো অজ্ঞাত গলিযাত্রাপথে আরও পড়ুন…

choddobesh

ছদ্মবেশ

শরীর চেনে না কিছু        শরীরের আঘাতে শরীর                কেঁদে ওঠে। মীড় দিলে বেহালায়              যেরকম  ব্যথা পায় সুর, প্রস্ফুটন ধর্ম ছিল গোলাপের,     জানে না আঘাত কোমলে লুকিয়ে থাকে, সমস্ত শরীর  যেন বা একটি কাঁটা  — আরও পড়ুন…

brishti gondhoke

বৃষ্টিগন্ধাকে

বুকের ভিতর মধ্যদুপুর। প্রাচীন আলতামিরা গুহায় একলা গ্রীষ্মমানব সঙ্গীহীন মন নিয়ে খুঁজে চলেছে গোপন দুঃখ। বিরহ ভর্তি এক ঘর আঁধার, দেওয়ালে ঝুলে আছে মাকড়সার প্রাচীন আঠালো জালের মতো। জালের ভিতর আটকা পড়েছে দূর বসতির শরীর কীট.. মিসড হয়ে যাওয়া প্রতিটি ফোনকলে ঘুঙুরের শব্দ থাকে… মনখারাপের দীঘল কোনো ঢেউ মেখে বসে আছে আরও পড়ুন…