rail_line_bikel

রেল-লাইনে ঠোঁট ঘষছে গোলাপী বিকেল

জানতে ইচ্ছে হয় কে বেশি ভালো আছে? প্ল্যাটফর্ম… না সেই ছেলেটা– যে রেল-লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে একের পর এক কামড়াগুলো চলে যেতে দেখে আর হাসতে হাসতে অস্ফুট স্বশ্রুত শব্দের খেলা প্রতিদিন। — — —  একটা মন খারাপ থেকে আর একটা মন খারাপের দিকে ভেসে যাওয়া। এক একটা হল্ট এক একটা স্টেশনের আরও পড়ুন…

amra_dekhbona_swapno_5

আমরা দেখব না স্বপ্ন? (পঞ্চম পর্ব)

“ব্যথা করছে? পেচ্ছাপ করবি?” ভুরু কুঁচকে একটা লোক তাকিয়ে আছে খুঁড়োর দিকে। খুঁড়োর সত্যিই মাথার পেছনটা চিনচিন করছিল ব্যথায়। কিন্তু ঘাড় কাত করতে ব্যথাটা চড়াং করে উঠল। অস্ফুটে বলে উঠল – ‘মা গো!’। মুখটাও বিকৃত হয়ে উঠল ব্যথায়।  “পেচ্ছাপ করলে এই প্যানে কর… নামতে যাস না… ডাকবি!” কপালে হাতে দিতে আরও পড়ুন…

amra_dekhbona_swapno_4

আমরা দেখব না স্বপ্ন? (চতুর্থ পর্ব)

লম্বা সাদা দাড়ি, এক মুখ বসন্তের দাগ, মাথায় টাক, থ্যাবড়া বড় নাক। চোখ বন্ধ করে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে বালির ওপর, হাত দুটো মাথার পেছনে রেখে। জামা-কাপড় জলে ভেজা, যেন এই মাত্র সমুদ্র-স্নান করে উঠে এসেছে। সেদিন রাতের মত আলখাল্লা নয়, একটা ফিনফিনে ফতুয়া আর চেক–কাটা লুঙ্গি পরা। দাড়িটা উড়ছে আরও পড়ুন…

amra dekhbona swapno 3

আমরা দেখব না স্বপ্ন? (তৃতীয় পর্ব)

ঘুমের মধ্যেই সাতটা দিন কেটে গেল… একশ আটষট্টি ঘণ্টা! স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের ঘোরে কেটে গেল। চোখের ওপর থেকে এতটুকু বালি সরল না। কমলও না। তাদের শরীরে কোনোরকম অস্বস্তি বা অসুখের লক্ষণও ফুটে উঠল না। কোনো বাহ্যিক কষ্টের চিহ্ন নেই শরীরে। কিন্তু সঙ্কট বা উদ্বেগ কমল না… বাড়ল। শহরের বাইরে, অন্য আরও পড়ুন…

amra_dekhbona_swapno_2

আমরা দেখব না স্বপ্ন? (দ্বিতীয় পর্ব)

চিৎ হয়ে শুয়ে আছে খুঁড়ো, বেঞ্চের ওপর টানটান করে পা ছড়িয়ে। আজ একটু হাওয়া দিচ্ছে, মশাও কম। কুকুরগুলো গোলমাল করছে না। একটা হালকা ঝিমুনির তুলতুলে গদিতে ডুবে যাচ্ছে মাথাটা। এমন নিশ্চিন্ত ঘুম অনেকদিন আসেনি খুঁড়োর। কেমন একটা মিষ্টি গন্ধ, কোন ফুল নাম মনে পড়ছে না। আরো মাথা ভারী হয়ে আসছে। আরও পড়ুন…

amra dekhbona swapno 1

আমরা দেখব না স্বপ্ন? (প্রথম পর্ব)

গভীর রাতে, উদাসীন ঘরগুলোর নির্লিপ্ত বিছানার পাশে… কারও পায়ের শব্দ শুনতে পেল নৈঃশব্দ্য। ঘুমে আচ্ছন্ন কোনও কাহিল চোখই দেখতে পেল না তাকে, অন্ধকার ঘরের ঘড়িগুলোও জানল না রাত কয় প্রহর। কোঁচকানো ভুরু আর ক্লান্ত চেষ্টার আড়ালে ঘুম। চোখের পাতার ওপারে কী আছে, তা দিনের আলোতেই বোঝা যায় না… আর এখন আরও পড়ুন…

gaachuyeitoliyejsachhekhad

গা ছুঁয়েই তলিয়ে যাচ্ছে খাদ

সে এক আদিম মহীরুহ, আকাশগঙ্গার থেকেও বৃদ্ধ। ব্রহ্মাণ্ডে তার এক বিশেষ স্থান আছে। তার বিপুল বপু চলে গেছে সৃষ্টির এক অসীম থেকে অন্য অসীমে। তার চারপাশে গজিয়ে ওঠা ন’টি জগতের অবস্থান আগলে রেখেছে তার সুঠাম শাখাপ্রশাখা। তার শেকড়, তার শাখাপ্রশাখা চারিদিকে ছড়িয়ে, এমন ভাবে সবকিছুকে জড়িয়ে-পেঁচিয়ে ধরে রেখেছে… এই বিশ্বচরাচরের আরও পড়ুন…

ek kap cha joydip

এক মুঠো জোনাকী আর রাত রঙা চা

একটা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে ছোট্ট বৃত্তগুলো ছড়িয়ে যাচ্ছিল। একটা ক্ষীণ মৃদু আন্দোলন। ট্রেন গেলে এমন হয়। স্টেশনের পাশেই চায়ের দোকান। কাঠের বেঞ্চে চায়ের গ্লাস রাখলে শব্দ-তরঙ্গের এমন পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণ করা যায়। কাঁচের গ্লাস, না ভাঙলেই হ’ল। মাটির ভাঁড় পেলে ভাল, না পেলে কাঁচের গ্লাস। পরিচিত দোকান, আমার অত ছুঁতমার্গ নেই। গোকুলদার দোকানে আরও পড়ুন…

abir makha kodom gach

আবির মাখা কদমগাছ

দূরপাল্লার ট্রেন যেখানে থামতে চায় না, আর যারা থামে তারাও নিতান্তই পরিস্থিতির কারণে… এমন এক ছোট স্টেশন। তার সীমিত দৈর্ঘ্যের প্ল্যাটফর্ম। আর সেই সীমিত অঞ্চলের নিরহঙ্কার অস্তিত্ব। হলুদ রং করা জাফরি দেওয়া পাঁচিল। পাঁচিলের ওপারে লালমাটির রাস্তা, যা ট্রেনের জানলা দিয়ে যাত্রীরাও দেখতে পায়। সেই পাঁচিলের ওপারে আর এপারে কাছাকাছি আরও পড়ুন…