Charles bukowski -র Nirvana একটি অযথাযথ ব্যক্তিমাত্রিক তর্জমা
বিশেষ কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই তরুণ যুবকটি
বাসে উঠে বসে।
বাসটি নর্থ ক্যারোলিনার ভেতর দিয়ে যাবে কোথাও একটা ।
বরফ পড়া শুরু হয়েছে
পাহাড়ের গায়ে একটা ছোট্ট কফির দোকানে এসে দাঁড়িয়েছে বাসটা এখন
আর,যাত্রীরা নেমে প্রবেশ করল একে একে।
সকলের সঙ্গে যুবকটিও গিয়ে বসে কাউন্টারে ,আর
খাবার অর্ডার করে, আর
খাবারও এসে পড়ে।
সেখানকার খাবার ছিল এতই উপাদেয় !
কফিও।
খাবার পরিবেশিকা মেয়েটি তার চেনা আর পাঁচটা মেয়ের মত নয়
কৃত্রিমতাহীণ স্বাভাবিক বুদ্ধির দীপ্তি খেলা করছিল মেয়েটির মুখে।
ফ্রাই –কুক টা তো যেন একটা পাগল!
দূরে থালাবাসন পরিষ্কার করছে যে লোকটি,সে হাসছে এখন
ওর হাসি নির্মল, মনোরম, আর
তরুণ যুবকটি জানলা দিয়ে বরফ পড়ার দৃশ্য দেখছিল
সে এই কফির দোকানেই থেকে যাবে এরপর।
চিরদিনের জন্য।
এক জিজ্ঞাসু অনুভূতি তাকে পেয়ে বসেছিল, যেন
এখানে সবই সুন্দর
এখানে সবই এমন সুন্দর থেকে যাবে
আর
তারপর বাসচালক জানিয়ে দেয় বাস ছাড়ার সময় হয়ে গ্যাছে।
যুবকটি ভাবল মনে ‘আমি এখানেই থাকব’
‘আমি এখানেই থাকব’
তারপর সে উঠে দাঁড়ায় আর বাকি যাত্রী দের অনুসরণ করে
বাসের দিকে
নিজের সিটে বসে জানলা দিয়ে কফির দোকানের দিকে তাকিয়ে থাকে।
বাসটি চলতে শুরু করেছে এখন
সর্পিল রাস্তা ধরে,নীচের দিকে,পাহাড়ের।
যুবকটির দৃষ্টি এখন তীরের মত সোজা।
যাত্রীদের নানা বিষয়ে কথা তার কানে আসছে
তাদের মধ্যে কেউ এখন ঘুমের চেষ্টা করছে,বই হাতে নিয়ে কেউ।
তারা কেউই এই ঘটে চলা ম্যাজিক দৃষ্টিগ্রাহ্য করেনা।
তরুণ ছেলেটি মাথা একপাশে এলিয়ে দেয়, চোখ বুজে ঘুমের ভান করে।
এঞ্জিনের শব্দ, বরফের বুকে টায়ারের শব্দ শুনছে সে এখন
আর কিছুই করার ছিলনা।
0 Comments