অনিমেষ সরকার-এর গুচ্ছ কবিতা
গভীর রাতের অসুখ পর্ব ১
গত রাতে আমিও ঠিক, এমন ভাবেই ছিলাম
খালি পথ, একা সিঁড়ি, খোলা ছাদের সঙ্গম
সঙ্কর সমষ্টির কান্না আর বদ্ধ মানুষের চিৎকার
গত রাতে ঠিক এমন ভাবেই আমিও ছিলাম।
নিরাকার
যে নারীতে একবার মিশেছে মোহনায় বাঁক নিতে চাওয়া পোস্টম্যান,
যে ছাদের আলোয় আকাশ দেখা, গুমোট গরমের গড়ানো ভাতের ফ্যান
সে হাওয়ায় আমিও নিয়েছিলাম আতপ চালের ঘ্রাণ;
গতরাতে ঠিক এমন ভাবেই আমিও ছিলাম।
বাঁকা জল
চেয়েছ এড়িয়ে যেতে, বৃষ্টি উপেক্ষা ঝড়ে
কবিতা দেখো কেদারা মঞ্চে, মেঘপাঠের অগুনতি সরঞ্জাম।
ঝক্কি সামলে বলছো যাকে কোন দিকে শ্মশান!. ঠিক তো করাই রয়েছে চিতা হোক বা কবরস্থান।
দাও দাও করে জ্বলছে পাতা, আলগা হচ্ছে বালি
এখন ঘড়ি শক্ত মুঠোয় বন্দি ,
খিদের পেটে মুখভর্তি ছেটাচ্ছো তো !
” অগোছালো কালি” …
ঋতুবদল
নেশা কেটে গেছে তবুও ঋতুবদলের মতো ঘোরে আছি, আশেপাশের জঞ্জাল সরিয়ে সাফ করে রেখে দিয়েছি,অনেক দিন যাবৎ আমার একা থাকার ঘরে কেউ এসে থাকেনি ।প্রবেশ করেনি কেউ। দেয়ালেও তরতর করে সরে গেছে ,ঘেমে গেছে কথার সলতে পাকাতে পাকাতে। এইবদ্ধ ঘরে আসা নিষেধ।তবুও যদি কেউ !
আকার
চাদরে চাদরে লেপ্টে আছে সুদৃশ্য সহবাসের চিহ্ন, যদিও অনেক দিন কোনো শরীর শরীরের মোহনায় মিশিয়ে যায়নি। সিন্দুকের মধ্যে সেঁটে গিয়েছে যন্ত্রণা। এই বদ্ধ ঘরে প্রবেশ নিষেধ।
ঘা
নিজের থেকেই এই পরম আবরণ উন্মোচন একটা সরাসরি খিদের লড়াই, কেউ খায়না ,খেতে দেয়না ,নিজের খাওয়ার খেয়ে নিদ্রা বেছে নিই, গতরাতে টাইমলাইন জুরে এক্স্ট্রা মিনিটের খেলা হয়েছে, বুলেটের আওয়াজ খেয়ে নিয়েছে শব্দের ধাতু। এই পুরো খেলাটাই আমার ঘরে, বদ্ধ ঘরে চলছে।
এই করে কেউ আসে না ,কারো আসা নিষেধ, যদিও আমি চাই ,এসো , আসুক ,এবং আসুক…
0 Comments