তরঙ্গ
পরাবাস্তবী সত্তার দর্পণে অভিমানী অস্তরাগ,
অজ্ঞাতনামার বৃষ্টিতে ধোঁয়াশার বর্ষাতি গায়ে-
আবার একটা যুগ পেরিয়ে যাচ্ছি আমরা,
পাললিক শিলার ভাঁজে ভাঁজে চুঁইয়ে পড়ছে-
যাযাবরের দেশ কিয়দংশ।
ছত্রাকের সুতো আগলে রেখেছে নগ্ন কপাটের পাঁজর,
মেঘ-পিয়নের পাড়ায় পাড়ায় ভাড়াটিয়া কত-
বেনামী খাম।হৃদয় হেথা শিসমহল…
চারণ কবির দল মাটির বেহালা বুকে-
নিঃশব্দে পেরিয়ে যায় মায়া-মারীচের রজনী।
জ্যোৎস্নার অলিন্দে ফিরে আসছে বিবাগী কবিতারা-
পরিযায়ীদের পিঠে চড়ে।
বাহারী গোলাপের গালিচা উজাড় করে দিল-
লোভাতুর বুভুক্ষু জাতির পদলেহন প্রবণতা,
ভাঙা জানালার আনাচে কানাচে কত পতঙ্গের লাশ!
আতস কাঁচের পুনর্জন্মে অন্ধ হয়েছে বিদগ্ধ সভ্যতা,
রক্তশূন্য বালুকাবেলায় দাগ রেখে গেছে-
দুর্ধর্ষ কত নাবিকের ভাঙা মাস্তুল,
আমার এপিটাফে বুনো অর্কিডের পাহারা থাকুক
নিষিদ্ধ হোক চোখের জল,নিষিদ্ধ হোক সালতামামি।
0 Comments