চাঁদের শিশির
১.
বিকেলের ভিতর এসে পড়েছে চাঁদ
কত নিদ্রাহীন অহরহ রাতে তার পলায়ন
ডাকাতখালির আল পেরিয়ে
দূর শাঁখের স্তবে,
নিজেকে আকুতি সাজাও, পিদিম শিখার আদল
তোমার বিমুখ
নিমের আলোয়, আড়াল হলেই
ঝরে পড়ে পাতা, দশমীর মায়াবকুল।
২.
ভেবেছি সন্ধ্যার হাওয়া। দহনমাসে
তুমি পথ ভুলে দশদিক, আউলা যেন
কে অপূরণীয় পথ? পথিকের নির্মোহ?
মাটির আলোটি ঠায়, পুড়ে যায় সন্তাপে।
৩.
বিষণ্ণ জলে দেখি কার মুখ
অতি চেনা অক্ষর- অস্পর্শ আঘাতে
পথ বুঝি এমনই, স্মৃতিপ্রবণতায় শুনশান
তবু দিনান্ত ধুলায় উছলি ওঠে
তার শিশির…তার সন্ধান…
৪.
লিখি নক্ষত্রদিনের চাঁদ, চৈত্রের শেষ লেখাখানি
হাওয়ার গভীরে তোমাকে পৌঁছে দিতে হবে, খেয়াটি কেবল
বসেছে সিঁড়িতে, কাঠের অলক্ষ্য প্রায়
কোন দূরদেশ জল, বিপথে, সন্ধ্যায়
পেরিয়ে গেল আলো, তোমার অভাবলিপি।
৫.
নির্দিষ্ট দূরত্বাবধি শোক লেখা থাকে। শোকের ওপার আয়ু।
চোখের ভিতর গড়িয়ে পড়ল চোখ, স্মৃতির মলিন
সে উপার্জিত জখম, বিস্মরণে ভেঙে যায়
নিয়ত, একাটি।
0 Comments