মড়ক
বাড়ি ফেরার পথে পা বাড়ানো যাযাবরেরা
আজ বুকে চাইছে পরিযায়ীদের শ্বাসযন্ত্র।
মনিবেরা তবুও ছুটি দিতে নারাজ,
পরিচালকেরা তাই তুলে নেয় পায়ের তলার মাটি,
ঘরের লোকেরাও এদের ফেরাতে সেরকম ইচ্ছুক দেখায় না আর।
সরকারি বাবুরা কোনো ভোরে এসে স্নান করায় এদের কীটনাশকের কামানে,
রাতের আঁধারে হয়তো বা কিছু পড়ে থাকে মৃত পোকামাকড়ের মতো ,
পোড়া রুটি আঁকড়ে থাকা হীম হওয়া হাতগুলি, বিচ্ছিন্ন হতে থাকে এ দারিদ্রের অতিমারীতে।
আর, আধা পৃথিবী দূরে থাকা একদল অভিবাসী আশায় বুক বাঁধে,
তাদের ফেরাতে অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেছে মোড়লেরা।
অনেকদিন ধরে যে হাওয়াটাকে নিষ্কলুষ লাগছিলো,
শেষ রাতে সেই বয়ে নিয়ে এলো মৃত্যুকণাগুলিকে,
মড়ক সেরকম বাছবিচার করে না সমুদ্রের ধারে থাকা লোকেদের পদমর্যাদায়,
উপরতলার কান্ডারীদের অবশ্য ঘুমের সেরকম ব্যাঘাত হয় না,
এক ধ্বংসলীলার বাহক হয়েও শিখতে না চাওয়া প্রজাতি,
কিছুক্ষনের ভারাক্রান্তি কাটিয়ে মেতে থাকে ঘরবন্দি খেলায়।
রোজকার ডায়রির পাতা প্রকাশ করতে থাকে মানবতা রক্ষার্থে।
গতকালের খবরের কাগজ আগেও ঠোঙাওয়ালাদের সোনার খনি ছিল,
আজকে ফয়সালা সমেত সব পাওয়া যায় জ্ঞানীদের রোজনামচায়।
0 Comments