সন্ন্যাসিনী
১
আমার ভিতরেও একটা ঘর আছে
মাঝে মধ্যে এক সন্ন্যাসিনীর আনাগোনা দেখি
তার চোখে গভীর রাত্রি জেগে থাকে,
সে আমায় কোনদিন সন্ন্যাস নিতে বলেনি, বলেনি
সংসারী হতেও… ||
২
সে ঠিক প্রেমিকানয়, আবার সন্ন্যাসিনীও নয়
তবুও ভালোবাসতে জানে
সে কবলিত গভীর ক্ষত-এ, দ্বিপাক্ষিকতায় নয়।
সে খোঁজে নিজে’রে প্রতিদ্বন্দ্বীভাবে
একপয়সার ঘুম কিনে, নিরুদ্দেশ হয় প্রতিরাতে
তিমির এর ঘুম ভাঙলে সেও ফিরতে চায়
আত্মিকতার বিপক্ষ নিয়ে
হয়ত প্রেমিকা হয়ে, হয়তবা সন্ন্যাসিনীর বেশে ||
৩
তুমি তো হারিয়ে যেতে চাও, মাঝরাতের বিকেলে সন্ন্যাসিনীর বেশে
নিরালায় চাঁদেরকণা আর পাহাড়ি কফিতে চুমুক।
ভালোবাসা পাঠিয়ো কিস্তিতে
ইচ্ছে হলে দুপুরবেলা ভাত ঘুমের ভেতর চিঠি লিখো,
আমি ঘুমিয়ে থাকব ঘুমের মধ্যেই, জমানো কাগজ কলম নিয়ে
আর যদি ঘুম না আসে রেডিয়ো চালিয়ো একবার…..||
৪
ঘুমের মধ্যে খুব কুয়াশা জমেছিল।
দরজা বন্ধ ছিল, বন্ধ ছিল সবকটি জানালাও
মোটামুটি
একটা ঘুলঘুলি ছিল।
হুম, সুযোগ ছিল। যুক্তি ছিল, আলো নিভে গেছিল।
ঠিক দুপুর বেলা এসেছিল, সন্ন্যাসিনী’র বেশে।
ভাত চায়নি,
‘একটুখানি আঁধার হবে’? জিজ্ঞেস করেছিল।
‘আমার তো কেউ নেই, এখন ঘুরতে হবে…’ আমি
বলেছিলাম ঘুমের ঘোরে।
0 Comments