দুটি কবিতা
আমারই ভারতবর্ষ
আজ সভ্যতার একটা সকাল
আজ সভ্যতার একটা দিন
আমি কি বেঁচে আছি ?
আমরা কি বেঁচে আছি ?
নিরুত্তর একাকী নিজের কুয়াশায়
নিজেই অস্পষ্ট চেয়ে আছি
ওরা কাঁদছে , কান্নার শব্দ মুহুর্মুহু
বন্দুকের নল ঘুরে আছে এইদিকে এখন
রক্তেভেজা আর্তনাদ গড়ে আসছে এদিকেই
ধর্ম না ঘাতক ? কী উগ্র বুট পরেছে আজ !
এটাতো ভারত ! আমারই ভারতবর্ষ !
আমি অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছি
আমার পিপাসা পাচ্ছে খুব
আমার মায়ের মুখখানা ভেসে উঠছে বারবার
হয়তো আর কিছুক্ষণ পর আমিও লাশ হব
হয়তো আমার রক্তে ভিজে যাবে মাটি
একটা সকাল ক্রমশ রাত্রির দিকে যাবে
একটা দুপুরও ক্লান্ত বিষণ্ণ নীরবতায়
ঘুরে ঘুরে পাক খাবে এখানেই
কেউ আর ডাকবে না আমাকে
যুগের সংকটে ভেসে যাবে দেশ
উল্লম্ফন
এত উল্লম্ফন কখনও দেখিনি
সবাই উঠে আসছে নিরন্তর
সীমাহীন প্রাচূর্যের উল্লাস নগরে
এইখানে অবিরাম সূর্য
সূর্যের বার্ধক্য নেই
কিছুটা যৌনগোধূলি যদিও
গোলাপি রঙের মায়ায়
বিশ্রামের পাঁচালি পাঠ করে
তারপর নিরুক্ত শয়ন ঘর
প্রাণশস্যে ক্ষুধা নিবৃত্তির আয়োজন
এসব তবুও দূরের সমাচার মনে হয়
আমাদের কারুণ্য নির্ভর পর্যটন
কোথাও ঝরনার আবেগ খুঁজে ফেরে বাহ্যত সংকট শুধু আর সব মৃত্যুযাপন
দুরপনেয় বোধ কাঙ্ক্ষিত শোভার কাছে
মাথা নত করে দেয়
উল্লম্ফন চলতে থাকে
বস্তুত জাগতিক প্রশ্রয়
0 Comments