আলো মানে রবি

শুভাশিস চক্রবর্তী on

সমস্ত বিষয়ের মধ্যে থেকে আরেকটি বিষয় – সেটা ছবি আঁকার ক্ষেত্রে উপলব্ধি করতে পারলেও লেখার ক্ষেত্রেও যে একই কথা প্রযোজ্য আগে বুঝিনি । বুঝলাম,  যখন রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত বিষয়-ভাবনায় হঠাৎ নাড়া দিল ভেতরকার অনেক কথা । ভাবলাম – গুরুদেব সম্পর্কে লেখার উপযোগ্য কলম আমার নেই অথবা তাঁর কীর্তির দিনক্ষণ , বিচার-বিশ্লেষণেও আমার লেখনি অপারগ এবং তাতে আমার মগজ এর হার্ডডিস্ক থেকেও বিশেষ কিছু সাহায্য পাওয়া যাবে না বলেই জবাব এলো । কিন্তু যেটা এল –  সেটা একটা অন্য কিছু – ‘ ভাবাবেগ ‘ । রবীন্দ্রনাথ জারিত ‘ভাব ‘ আর তা থেকে বেরিয়ে আসা ‘আবেগ’ মানে বিষয়ের মধ্যে কার আরেকটি বিষয় ।

                        শুরুটা যে ‘সহজ পাঠ ‘আর তারপর ‘ কিশলয় ‘ – বলতে দ্বিধা নেই । ছোট খোকা বলে অ আ / শেখেনি সে কথা কওয়া – বঙ্গের বাঙ্গালীদের কচি বয়সে রবি ঠাকুরের সাথে প্রথম পরিচয় ।  সাথে নন্দলালের নমনীয় লাইন ড্রয়িং ।  স্মৃতি হিসেবে ওই বয়সটাকে নিয়ে খুব একটা আবেগ থাকলেও বিশেষ কিছু মনে কারোরই থাকে না । এরপর কবিতা বা ছড়া অথবা পদ্য নিয়ে রবিবাবু এসেছেন বহুবার বিভিন্ন বয়সে এবং শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকে আটকে না থেকে হয়তো বসেছিলেন পাশে । বলেছিলেন – ছবি আঁকতে , কবিতা , গল্প – গদ্য লিখতে । বলা বাহুল্য জীবনানন্দ থেকে বিষ্ণু দে , শক্তি চট্টোপাধ্যায় থেকে সুনীল গাঙ্গুলী অথবা জয় গোস্বামী থেকে অমুক – তমুক এরা কেউই রবীন্দ্র প্রতাপ থেকে মুক্ত নয় ।  হয়তো একই কারণে আজ বাংলা লিটল ম্যাগাজিনের সংখ্যাও অগণিত । বিশ্বের কোথায় কোথায় থেকে প্রতিনিয়ত বাংলা লিটিল ম্যাগাজিন বের হয় তার হিসাব কষা প্রায় অসম্ভব ।

                     দু’বছর আগে কয়েকজন বন্ধু মিলে যখন একটা ছবি আঁকার দল গড়লাম , নাম দিলাম ‘ মনন শিল্পগোষ্ঠী ‘ । প্রথম প্রদর্শনী প্রকাশের দিন ঠিক হল ২৫ শে বৈশাখ ।অবধারিত – প্রদর্শনীর বিষয় রবীন্দ্র ভাবনা ও চেতনা । এবারের পরিচয়টা ছিল একটু অন্যরকম । শুধু পড়া নয় – পড়ে রং তুলি নিয়ে ক্যানভাসে তার প্রকাশ । ৩৬ টি ছবি ও ১১ টি ভাস্কর্য  সম্মিলিত প্রকাশ হলো সে প্রদর্শনীতে । মননের প্রথম বর্ষপূর্তিতে চতুর্থ প্রদর্শনীর বিষয় ছিল ‘ ভালোবাসা ‘ । ২৫ শে বৈশাখে আমি আঁকলাম রবি ঠাকুরের শেষ বয়সের পোট্রেট । চোখের তলায় কপালের ভাঁজ গুলি অত্যন্ত দৃঢ় । হগ-হেয়ার আর তুলি দিয়ে লাইন ড্রয়িং এর ওপর খুব একটা নির্ভরশীল না হয়েই – মোটা তেল রঙ এর আস্তরণ এ একরাতেই সম্পূর্ণ করলাম । আবিষ্কার করলাম এটি আমার আঁকা দ্বিতীয় রবি ঠাকুরের পোর্ট্রেট । এর আগে কালো পেপারে সাদা হাইলাইট দিয়ে এঁকেছিলাম । কিন্তু দ্বিতীয় পোর্ট্রেটটি  আমার আঁকা পোর্ট্রেট – পছন্দের প্রথম সারিতে ।  আসল কথা পছন্দের তালিকায় এমন কড়া প্রতিদ্বন্দ্বি থাকলে অন্য দিকপালদের হার মানা টা খুব স্বাভাবিক ।

                    ছবিই আঁকব, ঠিক করাতে আমি এখন বাংলা রাজ্যের বাইরে ।  এ রাজ্যের এ শহরের ভাষা আমি বুঝি না ।  যেমনটা ওরাও আমাকে চেনে না । শুধু ঠিকানাটা জানি –  ব্যাঙ্গালোর ৩২ আর জানি কোন বাস কোন দিক দিয়ে যায় ।  কোনটা যায় শিবাজিনগর আর কোনটা যায় মালেস্বরম । একদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা জার্নি করে গিয়ে পৌঁছালাম কুমারা ক্রুপা রোডে । জিজ্ঞাসা করে করে হাঁটতে হাঁটতেই সামনে পেলাম একটা বিরাট বড় প্রাচীর । বুঝলাম আমি পৌঁছে গেছি কর্ণাটক চিত্রকলা পরিষদে ( আর্ট কলেজ, কর্ণাটক ) । কারণ প্রাচীরের লোহার রেলিং জুড়ে বড় বড় জাং ( লোহা , পরিত্যক্ত মেটাল দিয়ে তৈরি স্কাল্পচার ) তাকিয়ে আছে আমার দিকে ।

ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম ছাত্র-শিক্ষকদের হাতে পায়ে মাটি অথবা প্লাস্টার অফ প্যারিস । অট্টালিকা টাইপ ঘরগুলোতে এখানে ওখানে পরিত্যক্ত জিনিস , ভাস্কর্য । কোন ঘরের ছাদ সাধারণভাবে তিনতলা আর সেখান থেকে ঝুলছে একটি বিরাট মানবকাঠামো । এদেশীয় ও বিদেশী ছাত্র – শিক্ষকের ভিড় ।

                    এভাবে প্রায় ৪৫ মিনিট পর সাহস করে টিকিট কেটে মিউজিয়ামে ঢুকলাম ।  সামনের ঘরটাতে শুভাপ্রসন্ন , গণেশ হালুই ,  যোগেন চৌধুরী , শ্যামল দত্ত রায় , গণেশ পাইন এমনকি বিকাশ ভট্টাচার্য আমাকে যতটা না চমকে দিল ভেতরের ঘরটা ততটাই আমার কপালে ভাঁজ ফেলল । ভ্রু কুঁচকে চোখ ঝাপসা করে দিল কালীঘাটের পট , অবনীন্দ্রনাথ ,  গগনেন্দ্রর পাশ দিয়ে দেওয়াল ঘুরতেই থমকে গেলাম । জাপানি আদলে কালি কলমে গুরুদেবের হাতে আঁকা ছবি । নানা ফটোগ্রাফ নয় ! কাগজের ভাঁজ ,  ছিড়ে যাওয়া অবস্থা , খসে পড়া রং – আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম সাইনে লেখা ‘ রবীন্দ্র ‘। আমার যেমন ছোটবেলায় সাদা কাগজের উপর হাত রেখে আঙ্গুলের পাশ দিয়ে কলম চালিয়ে হাত আঁকতাম উনিও এঁকেছেন নিজের হাত । কালির রেখা অস্পষ্ট হয়ে আসাতেও সে হাতের অবয়ব যেন পরিষ্কার । গার্ডম্যান একটু আড়াল হতেই আলতো করে মিলিয়ে নিলাম আমার হাতের মাপ ।  দেখলাম বুড়ো আঙ্গুলটিই শুধু আমার চাইতে বড় ।

                      এত সরল লাইন কি করে টানতেন – প্রশ্নটা গুরুদেবের ছবি -পরিচিতি পর্বে হয়তো সবাইকেই ভাবায় !  আমিও বাদ যাইনি । হয়তো জীবনের শেষ মুহূর্তে ছবি আঁকা শুরু করলে অভিজ্ঞতার ফসল এমনই হয় । আর উনিতো গুরুদেব যার উদ্ধার প্রাপ্ত ছবির সংখ্যা আড়াই হাজার তিনি কত ছবি তাহলে এঁকেছেন ! ছবি আঁকার এই ঝোঁকটাই হয়তো কবি রবীন্দ্রনাথ অথবা লেখক – গল্পকার রবীন্দ্রনাথ থেকে চিত্রকর রবি কে একটু আলাদা করে রাখে । সাবলীল রেখায় রেখায় কালিকলমে পোক্ত হাত বোধহয় তারইপরিচয় দেয়  ‘ রুটি মেখে বেলে দিও ‘ ছবিটাতে । সাধারণ ল্যান্ডস্কেপ বা প্রকৃতির ছবি তে আটকে না থেকে অজস্র মুখাবয়ব এবং তার অভিব্যক্তি একটি দক্ষ হাতের পরিচয় অবশ্যই দেয় । কবিতার ভুল ভ্রান্তি /কাটাকুটিতেও যিনি ছবি খুঁজছেন তাঁর দেড়শো বছরের ভাবনা – ইতিহাস ব্যক্ত করার ব্যাকরণ আমার জানা নেই । ছবিতে যা কিছু পাওয়ার ছিল তা হয়তো পেয়েছেন নিজের ভেতর ভেতর সে কারণেই কি শেষের দিকে কবিতার চেয়ে ছবিতাকেই বেশি কাছে টেনে নিয়ে ছিলেন ? এবং নিজের আঁকা ছবি দেখে লিখেছিলেন ১৬ টি ছোট বা অনু কবিতা ।  ‘ চিত্রলিপি ‘ ও ‘ নাম হারা রেখা পথ বেয়ে ‘ সংকলন দুটি তার সেই ছবি ও কবিতারই মেলবন্ধন । ছবিকে ভাবগত দিক থেকে বিচার করে পরিপ্রেক্ষিত রচনা যিনি করতে পারেন তিনি তো অকপটে বলতেই পারেন – ” আপনারা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন এই ছবিগুলির অর্থ কি ?  আমি বলি ইহাদের কোন অর্থ নাই । ” হয়তো এই কথারই অন্তর্গত প্রকাশ তিনি করেছিলেন নিজেরই আঁকা একই ছবি দেখে বিভিন্ন কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে হয়তো বলতে চেয়ে ছিলেন ছবির কোন নির্দিষ্ট ভাব বা ভাষা হয়না । ব্যক্তিবিশেষে বিভিন্ন তার রূপ ।

                     রবি ঠাকুরের তৃতীয় পোর্ট্রেট করেছিলাম ব্যাঙ্গালোরের রওনা হওয়ার আগ মুহূর্তে এর মাপ বড় – প্রায় Life-size । ‘ বাল্মিকী প্রতিভা ‘নাটকের সেই বিখ্যাত পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যবয়স্ক পুরুষের । কদিন আগে করমন্ডলমে গিয়েছিলাম ।  দুবার বাস পাল্টানোর ফলে মোট আড়াই ঘন্টার জার্নি করে আমি তখন সুজিত কুমার জি এস মান্ডিয়ার ফ্ল্যাটে । জায়গাটার নাম ইয়াল্লামা এন্ড কেভরাম্মা টেম্পল , ওল্ড মাডি ভালা স্ট্রিট , ব্যাঙ্গালোর ৬৮ । সুজিত কুমার জি এস মান্ডিয়া এখানকার মোটামুটি নামজাদা আর্টিস্ট দের মধ্যে একজন। হিন্দি-ইংরেজি প্রায় বোঝেনই না, বলতেও পারেননা । অদ্ভুত একটা কান্নাড়া, হিন্দি ও ইংরেজি মিশ্রিত ভাষায় কথা বলছিলেন । খুব কষ্ট করে হলেও আকার-ইঙ্গিতে বুঝতে পারছিলাম । আমার আঁকানো ছবির ক্যাটালগটা উল্টাতেই কিছু দূরে থমকে গেলেন — বাল্মিকী – প্রতিভা পোর্ট্রেট এ । আমার দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত রকম হাসি দিয়ে বললেন একটা শব্দ, যেটা সেই দিনে আমার তার কাছ থেকে শোনা ও আমার বুঝতে পারা একটি মাত্র শব্দ । তা হল – ‘ রবীন্দ্রনাথ ট্যাগর ‘ । অসম্ভব খারাপ উচ্চারণ কিন্তু তার কাছে হয়তো রবীন্দ্রনাথ –  রবীন্দ্রনাথ ই । এর পর কথায় কথায় উঠে এলো শান্তিনিকেতন । চিত্রকলা পরিষদ মিউজিয়ামে রাখা গুরুদেবের আঁকা ছবি সব । সেখানে আমার অবাক হওয়া টা একেবারেই বেমানান । বিশ্বকবি কি বাঙালির নিজস্ব সম্পদ ?  জাতীয় সংগীত স্রষ্টার কথা এরা জানবে না ? রবির আলো থেকে এরাও তো গা বাঁচাতে পারেনি ।

             ” না চাহিলে যারে পাওয়া যায় ” – কাছে পেয়েছি কিন্তু কাছে টেনেছি কত !  ২৫ শে বৈশাখ থেকে বছর ঘুরে পহেলা বৈশাখ । পরনে বাঙালি পোশাক আর মাইকে রবীন্দ্র সংগীত । সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কেউ গলা ছেড়ে রবীন্দ্র সংগীত ( পড়ুন মনোসংগীত , মাঝে মাঝে কিশোর সংগীত ) ব্যাস । ২৫ শে বৈশাখ পালনের কথা খবরের কাগজেও ফলাও করল ,  শহরজুড়ে সঙ্গীতশিল্পী – আবৃত্তিকারদের জয়জয়কার । গুড পাওয়ার সেন্স । যাক গে । রোজকার মতো লাল থালায় এক ঝাঁক আলো নিয়ে পুব থেকে পশ্চিমে দিনান্ত হয় । তখন সাদা পাতাগুলি উড়ে এসে বসে আমার পাশে । কোনটায় দেখি জ্যামিতিক ” মুখ ”  , কোনটায় ” উড়ন্ত পাখির ঝাঁক ” আর কোনটায় ” মুখোশের গুচ্ছ ” । যথারীতি ইঙ্গিত পাই ছবি আঁকার  ।

                  সহজপাঠ থেকে কিশলয় পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা –  কবিতা , গল্প , উপন্যাস , নাটক । ভাসিয়ে দেবার আলো বয়ে গিয়েছে সারাটা পর্যায় । এখানে সকালে ঘুম থেকে উঠেই সিডিতে গান চালিয়ে দিই । ক্যাসেটটার নাম ” রবি প্রণাম ” । স্বাগতালক্ষী , রেজওয়ানা জানালা দিয়ে বেরিয়ে পাশের বাড়ি গুলোতে পৌঁছয় । খুব ইচ্ছে করে কেউ এসে জিজ্ঞেস করুক এটা কি গান ? কোন ভাষার গান ?  তখন আমি গীতাঞ্জলির কথা বলব । যেটুকু জানি সেটুকুই বলব । হয়তো আলোর একটু ভাগ দিতে পারব,  যেটুকু আছে তার থেকে খানিকটা ।

             তখন পাড়ার মোড়ের ফাটা মাইকে বাজানো রবীন্দ্রসঙ্গীত, কিংবা বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অসহ্য আবৃত্তিকাররা অথবা একুশের দিনে গণ্যমান্য নেতার রবীন্দ্র প্রলাপ – মিলেমিশে একাকার । আমি বলি এগুলোরও দরকার আছে । চেতনানির্ভর মানব সমাজের বিশিষ্টরূপ – পরিচয় দিতে এই শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন । স্পষ্ট বক্তব্যের আহ্বান এখান থেকেই আসবে । শিল্পসৃষ্টির কারিগর না বলে গুরুদেব কে এক্ষেত্রে চলন আবিষ্কারক বলাই ভালো । তাই সৃষ্টির রূপ খুঁজতে সেই চলনে পা বাড়াই । আলোর রবি অথবা রবির আলো পথ দেখায় ।

           এখন ও ঘরে টিমে তালে রেজওয়ানা গাইছে ” গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে / মৃদুল মধুর বংশী বাজে ” আর আমি বিছানার উপর খাতাটা নিয়ে বসে আছি সেই সকাল থেকে । কাচের জানালা থেকে চুঁইয়ে একটা বড় নিমকির মত আলো মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়েছে অনেকক্ষণ । এবারে সে বিছানায় উঠেছে । ঠিক আমার খাতার কাছাকাছি এসে থেমে গেছে । আমি খাতাটা একটু সরিয়ে নিলাম , যাতে অতো কাছ থেকে পড়ে ফেলা না যায় ।

৩০.০৩.২০১০
মান্নারায়ানা পালিয়া ( পাল্যা )
ব্যাঙ্গালোর – ৩২

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে মন্তব্য করুন


শুভাশিস চক্রবর্তী

জন্ম আশির দশকের গোড়ার দিকে। জন্ম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কাঁজিয়ালসী গ্রামে হলেও স্থায়ী বসবাস বালুরঘাটে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক। পেশায় ও নেশায় চিত্রশিল্পী, কর্মসূত্রে দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও মাটির টানে আবার আত্রেয়ীর পাড়ে। মূলত ছোটগল্প লেখায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নাটকের দলের সাথেও জড়িত। দধীচি, আয়নানগর, আত্রেয়ীর পাড়া সহ কিছু পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

0 Comments

মন্তব্য করুন

Avatar placeholder

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।